পোস্টগুলি

2018 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

একাদশী ব্রত

ছবি
পদ্মপূরাণে একাদশী প্রসঙ্গে বলা হয়েছে। একসময় জৈমিনি ঋষি তাঁর গুরুদেব মহর্ষি ব্যাসদেবকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে গুরুদেব! একাদশী কি? একাদশীতে কেন উপবাস করতে হয়? একাদশী ব্রত করলে কি লাভ ? একাদশী ব্রত না করলে কি ক্ষতি? এ সব বিষয়ে আপনি দয়া করে বলুন। মহর্ষি ব্যাসদেব তখন বলতে লাগলেন-সৃষ্টির প্রারম্ভে পরমেশ্বর ভগবান এই জড় সংসারে স্হাবর জঙ্গম সৃষ্টি ...করলেন। মর্ত্যলোকবাসী মানূষদের শাসনের জন্য একটি পাপপুরুষ নির্মাণ করলেনা। সেই পাপপুরুষের অঙ্গণ্ডলি বিভিন্ন পাপ দিয়ে নির্মিত হল। পাপপুরুষের মাথাটি ব্রহ্মহত্যা পাপ দিয়ে, চক্ষুদুটি মদ্যপান, মুখ স্বর্ণ অপহরণ, দুই কর্ণ-ণ্ডরুপত্নী গমন, দুই নাসিকা-স্ত্রীহত্যা, দুই বাছ-গোহত্যা পাপ, গ্রীবা-ধন অপহরণ, গলদেশ-ভ্রুণহত্যা, বক্ষ-পরস্ত্রী-গমন, উদর-আত্মীয়স্বজন বধ, নাভি-;শরণাগত বধ, কোমর-আত্মশ্লাঘা, দুই ঊরু-ণ্ডরুনিন্দা, শিশ্ন-কন্যা বিক্রি, মলদ্বার-ণ্ডপ্তকথা প্রকাশ পাপ, দুই পা-পিতৃহত্যা, শরীরের রোম-সমস্ত উপপাতক। এভাবে বিভিন্ন সমস্ত পাপ দ্বারা ভয়ঙ্কর পাপপুরুষ নির্মিত হল। পাপপুরুষের ভয়ঙ্কর রূপ দর্শন করে ভগবান শ্রীবিষ্ণু মর্ত্যের মানব জাতির দুক্ষ মোচন করবার

শ্রীমদ্ভগবদ্ গীতা যথাযথ

ছবি
প্রথম অধ্যায়ঃ অর্জুনবিষাদযোগ দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ সাংখ্যযোগ তৃতীয় অধ্যায়ঃ কর্মযোগ চতুর্থ অধ্যায়ঃ জ্ঞানযোগ পঞ্চম অধ্যায়ঃ কর্মসন্যাসযোগ ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ ধ্যানযোগ বা অভ্যাসযোগ সপ্তম অধ্যায়ঃ জ্ঞানবিজ্ঞানযোগ অষ্টম অধ্যায়ঃ অক্ষরব্রহ্মযোগ নবম অধ্যায়ঃ রাজবিদ্যারাজগুহ্যযোগ দশম অধ্যায়ঃ বিভূতিযোগ একাদশ অধ্যায়ঃ বিশ্বরূপ দর্শনযোগ দ্বাদশ অধ্যায়ঃ ভক্তিযোগ ত্রয়োদশ অধ্যায়ঃ ক্ষেত্রক্ষেত্রজ্ঞবিভাগযোগ চতুর্দশ অধ্যায়ঃ গুণত্রয় বিভাগযোগ পঞ্চদশ অধ্যায়ঃ পুরুষোত্তমযোগ ষোড়শ অধ্যায়ঃ দৈবাসুরসম্পদবিভাগযোগ সপ্তদশ অধ্যায়ঃ শ্রদ্ধাত্রয় বিভাগযোগ অষ্টাদশ অধ্যায়ঃ মোক্ষযোগ

আর্যদের ধর্মীয় বিশ্বাস

ছবি
আর্যদের ধর্মীয় বিশ্বাস আর্যদের যে পরিচয় পাওয়া যায় তা হতে পরিষ্কার হয় যে আর্যদের ধর্মীয় বিশ্বাস ছিল সহজ ও সরল।আর্যগণ প্রকৃতির রূপ দেখে ও বিস্মিত হয়েছেন, দেবতার কল্পনা করেছেন। তাদের উপাস্য দেবতা ছিলো আলোর দেবতা সূর্য, আকাশের দেবতা দ্যৌঃ, বায়ুর দেবতা মরুৎ, জলের দেবতা বরুণ, বৃষ্টি ও বজ্রের দেবতা ইন্দ্র। ইন্দ্র ও বরুণ ছিলেন দেবতাগণের মধ্যে প্রধান। উষা, সরস্বতী, পৃথিবী প্রমুখ দেবীর উল্লেখও ঋগ্বেদে আছে। আর্যরা ছিলেন মূলতঃ প্রকৃতির উপাসক। আর্যরা মনে করতেন সকল দেবতাই এক অদ্বিতীয় মহাশক্তির বিভিন্ন রূপ। উপনিষদে এই এক ব্রহ্ম চিন্তারই প্রধান্য ঘটেছে। আর্যগণ অগ্নিকুণ্ড প্রজ্বলিত করে দুগ্ধ,ঘৃত প্রভৃতি প্রিয় আহার্য উপাস্য দেবতাকে নিবেদন করার প্রাক্কালে বৈদিক মন্ত্রও পাঠ করতেন। বেদের ব্রাহ্মণ অংশ যখন রচিত হয় তখন যজ্ঞ ক্রিয়ার নানা জটিলতা দেখা দেয় এবং বৈদিক মন্ত্রাদিতে জ্ঞান সম্পন্ন এক শ্রেণীর লোকের উদ্ভব হয়। এই শ্রেণীর পুরোহিত, যাদের প্রাধান্যে বৈদিক ধর্মের আন্তরিকতার লুপ্ত হয়ে যাগ যজ্ঞের ক্রিয়াকলাপই মূখ্য হয়ে দেখা দেয়। বেদ সত্য ও প্রকৃত জ্ঞানের ভান্ডার। ইহা শাশ্বত, ইহার সৃষ্টি

বর্ণবাদ বা জাতপ্রথা

ছবি
ঋগ্বেদের পুরুষ সূক্তের একটি মন্ত্র ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্রের সংবাদ প্রথম দিয়েছে। এই মন্ত্র আরোও জানিয়েছে যে এক ঈশ্বর থেকে চার বর্ণের মানুষ সৃষ্টি হয়েছে। সেসব স্থান থেকে বর্ণগুলো সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো হলো, মুখ থেকে ব্রাহ্মণ, বাহু থেকে ক্ষত্রিয়, উরু থেকে বৈশ্য এবং পদযুগল থেকে শূদ্র। উৎপত্তিস্থল অনুসারে পর্যালোচনা করলে বর্ণবাদের তাৎপর্য পরিষ্কার হয়ে ওঠবে। যেমন : ব্রহ্মার মুখ থেকে  জন্মেছে ব্রাহ্মণ বলে তাদের প্রধান কাজ হল মন্ত্রোউচ্চারণ, ঈশ্বরের গুণগান, সৎ উপদেশ দেওয়া। বাহু হলো বলের প্রতীক। যেসব ব্যক্তি বাহুবলের উপর নির্ভর করে ভয়ভীতি তুচ্ছ গণ্য করে অপরের উপকার ও অপরকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসেন, তারাই ক্ষত্রিয়। উরু পুষ্টির প্রতীক, কর্মের প্রতীক। ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি কর্ম, পশুপালন এসব করে যারা সমাজকে রক্ষা ও প্রতিপালন করবে তারাই বৈশ্য।পদযুগল হল শ্রমের প্রতীতুচ্ছ। যারা সমাজকে বাঁচিয়ে রাখবে তারাই শূদ্র।গীতায় শ্রীভগবান বলেছেন,  "চার্তুবর্ণ্য ময়া সৃষ্টং গুণকর্ম বিভাগশঃ "। এভাবে ভগবানের মুখনিঃসৃত বাণী হতে বর্ণভেদ প্রথার সূচনা হয়। মনুসংহিতার এই চার বর্ণের মানুষের কা

হিন্দুধর্ম ও হিন্দুধর্মের বিকাশ

ছবি
হিন্দু ধর্ম ও হিন্দু ধর্মের বিকাশ নিয়ে কিছু আলোচনা করা যেতে পরে। হিন্দু ধর্ম হিন্দু ধর্ম একটি প্রাচীনতম ধর্ম। ঋক্বেদ পৃথিবীর প্রচীনতম গ্রন্থ। ফরাসি আক্রমনকারীগণ ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে উপনীত হলে তারা সিন্ধু নদীর তীরে আর্য ঋষিগণের বংশধরদের দেখতে পায়। ফরাসি ভাষায় "স" এর উচ্চারণ "হ" এর অনুরূপ, তাই সিন্ধু কে তারা হিন্দু রূপে উচ্চারণ করতো। এইভাবে সিন্ধু নদীর তীরে বসবাসকারী জনগণ হিন্দু হিসেবে পরিচিত লাভ করে ও দেশকে হিন্দুস্থান এবং ধর্মকে হিন্দু ধর্ম বলে চিহ্নিত করা হয়। বাস্তবে এ ধর্মের নাম "সনাতন" ধর্ম। সনাতন অর্থ শাশ্বত বা চিরস্থায়ী যা পূর্বে ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে- তাই এই নাম সনাতন। এরূপ একটি ধর্মের সৃষ্টি একজন চিরস্থায়ী শক্তির দ্বারাই সম্ভব। ঈশ্বর সনাতন, চিরস্থায়ী এবং তিনিই এই ধর্মের স্রষ্টা। মানুষ নশ্বর, তার দ্বারা এরূপ কোন চিরস্থায়ী সনাতন কিছুই হতে পারে না। স্বয়ং ঈশ্বর হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক ও প্রচারক, ঈশ্বরের মুখ-নিঃসৃত বাণী ঋষিগণের মাধ্যমে এভাবে পৃথিবীতে প্রবর্তিত হয়েছে। হিন্দু ধর্মের বিকাশ ত্রিলোকদর্শী ঋষিগণ ধ্য

হিন্দুধর্মের ঐতিহাসিক সভ্যতা গুলো

ছবি
ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা সহজ নয়। হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে হলে এর প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে জানা আবশ্যক। তাই এই সম্পর্কে কিছু আলোকপাত করা যেতে পারে। আদি সভ্যতা ভূতত্ত্ববিদদের মতে পৃথিবীর বয়স ৫৭০ কোটি বছর। সৃষ্টির শুরুতে যেসব শিলা গঠিত হয় তা বর্তমানে পৃথিবীর সব ঢাল-আকার ভূ-খণ্ডে পাওয়া যায়। এমনকি একটি ভূখণ্ড ভারত উপদ্বীপ। একদা-ভারতবর্ষে আফ্রিকার মাদাগাস্কার দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়া এবং অ্যান্টার্কটিকার সমন্বয়ে গঠিত দক্ষিণ গোলার্ধে গগুোয়ানাল্যাগু নামের একটি বিশাল ভূখন্ড ছিল। উত্তর গোলার্ধে ও অনুরূপ একটি ভূখণ্ড ছিল। আর এই দু'টোর মাঝে বিরাজ করতো টেথিস সাগর। মধ্যযুগীয় মহাযুগের শেষদিকে গগুোয়ানাল্যান্ড ফাটল ধরে এবং উল্লেখিত অংশসমূহ একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন দিক বাসতে বাসতে আজকের অবস্থানে এসে দাঁড়ায়। প্রমাণিত হয়েছে যে ভারত উপমহাদেশ এমনিভাবে গত ১০ কোটি বছর ৩০০০ মাইলের বেশি পথ অতিক্রম করে এশিয়া ভূখন্ডের সাথে ধাক্কা খেয়েছে। এই ধাক্কার ফলে উক্ত ভূখগুদ্বয়ের মাঝে জমাকৃত পলল এবং পাললিক শিলা সংকুচিত হয়ে হিমালয় পর্বতমালা

ভগবান তার ভক্তের সেবা করেন

ছবি
ভগবান তার ভক্তের সেবা করেন ঈশ্বর আরাধনার বিভিন্ন পদ্ধতিকে জ্ঞান, কর্ম ও ভক্তি এই তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। এ সাধন পদ্ধতির মধ্যে ভক্তিই হচ্ছে আরাধনার শ্রেষ্ঠ পথ। পূজনীয় ব্যক্তি বা ঈশ্বরের প্রতি অনুরাগকে ভক্তি বলা হয়। ভক্তির যিনি অধিকারী, তিনিই ভক্ত। ভক্তির বিভিন্ন প্রকার আছে, যেমন- পিতৃভক্তি, মাতৃভক্তি, গুরুভক্তি ও ভগবদ্ভক্তি। ভক্তির আশ্রয় হচ্ছে ভক্ত হৃদয়। অসাধারণ শক্তি রয়েছে ভক্তির মধ্যে। ভক্তকে টেনে তোলে ভগবানর দিকে, ভগবানকে নিয়ে আসে ভক্তের সান্নিধ্যে। ভগবান তার ভক্তের সেবা করেন। ভক্ত যখন শ্রদ্ধা ও ভক্তিতে ভগবানের নিকট আত্মনিবেদন করে, ভগবানও তখন সে ভক্তের সেবায় তৎপর হন। একটি দৃষ্টিন্তস্বরূপ উল্লেখ করা যায় :- অর্জুন মিশ্র নামের একজন পণ্ডিত ভক্ত ছিল। তিনি গীতার টীকা রচনা করেছিলেন। নবম অধ্যায়ের ২২ তম শ্লোকে ভগবান বলছেন, অন্য কোন বিষয় চিন্তা না করে যারা আমার উপাসনা করেন, সে সব ভক্তের যোগ ও ক্ষেম আমি বহন করি। এই শ্লোকে "বহাম্যহং" অর্থাৎ আমি বহন করি" এই শব্দটি পড়ে পণ্ডিত চিন্তিত হয়ে পড়লেন। ভগবান ভক্তের যোগ ও ক্ষেম অর্থাৎ অপ্রাপ্ত ও প্রাপ্ত বস্তুর প্রাপ্তি ও প্

শ্রীমদ্ভগবদগীতা যথাযথ

ছবি
শ্রীমদ্ভগবদগীতা যথাযথ, বাংলায়। গীতার পরিচিতি    গীতা পাঠের মন্ত্র    প্রথম অধ্যায়    দ্বিতীয় অধ্যায়    তৃতীয় অধ্যায়    চতুর্থ অধ্যায়    পঞ্চম অধ্যায়    ষষ্ঠ অধ্যায়    সপ্তম অধ্যায়   অষ্টম অধ্যায়    নবম অধ্যায়    দশম অধ্যায়    একাদশ অধ্যায়    দ্বাদশ অধ্যায়    ত্রয়োদশ অধ্যায়    চতুর্দশ অধ্যায়    পঞ্চদশ অধ্যায়    ষোড়শ অধ্যায়    সপ্তদশ অধ্যায়    অষ্টাদশ অধ্যায়    শ্রী শ্রী গীতার মাহাত্ম্য । শ্রীমদ্ভগবদগীতা যথাযথ, সংস্কৃত বাংলায়। প্রথম অধ্যায় ,  দ্বিতীয় অধ্যায় ,  তৃতীয় অধ্যায় ,  চতুর্থ অধ্যায় ,  পঞ্চম অধ্যায় ,  ষষ্ঠ অধ্যায় ,  সপ্তম অধ্যায় ,  অষ্টম অধ্যায় ,  নবম অধ্যায় ,  দশম অধ্যায় ,  একাদশ অধ্যায় ,  দ্বাদশ অধ্যায় ,  ত্রয়োদশ অধ্যায় ,  চতুর্দশ অধ্যায় ,  পঞ্চদশ অধ্যায় ,  ষোড়শ অধ্যায় ,  সপ্তদশ অধ্যায় ,  অষ্টাদশ অধ্যায় , শ্রীমদ্ভগবদগীতা যথাযথ, সংস্কৃত। প্রথম অধ্যায়.   দ্বিতীয় অধ্যায়.   তৃতীয় অধ্যায়.   চতুর্থ অধ্যায়.   পঞ্চম অধ্যায়.   ষষ্ঠ অধ্যায়.   সপ্তম অধ্যায়.   অষ্টম অধ্যায়.   নবম অধ্যায়.   দশম অধ্যায়.   একাদশ অধ্যায়.   দ্বাদশ অধ্যায়.   ত্রয়োদশ অধ্যায়.   চতুর্দশ অধ্যায়.  

হিন্দুধর্ম মতে পৃথিবীর সৃষ্টি

ছবি
সৃষ্টির আদিতে যখন বিষ্ণু মহাসমুদ্রের অনন্ত জলরাশির উপর মহা নিদ্রায় শায়িত ছিলেন, তখন নাভিকোমল থেকে ব্রহ্মা এবং কানের ভেতর থেকে মধু ও কৈটভ নামে দুই দ্বৈত্যের জন্ম হল। দৈত্যগণ ব্রহ্মাকে হত্যা করতে উদ্ধত হল। ব্রহ্মা স্তব দ্বারা বিষ্ণু ও মহামায়াকে তুষ্ট করলেন। বিষ্ণুর মায়া-নিদ্রা ভঙ্গ হলে তিনি মধু ও কৈটভকে হত্যা করলেন তাদের মেদ থেকে মেদিনী অর্থাৎ পৃথিবীর সৃষ্টি হল। ব্রহ্মা তমসাচ্ছন্ন পৃথিবীতে চন্দ্র-সূর্য, তরকাজির দ্বারা আলোকিত করে একটি উত্তম জীবনের প্রয়োজন বোধ করলেন। প্রথমে তিনি সৃষ্টির বিস্তারের জন্য ঋষিগণের সৃষ্টি করলেন, কিন্তু এরা বংশ বিস্তারে অনাগ্রহী হয়ে তপস্যায় মগ্ন হলেন। এতে  ব্রহ্মা নিজ মূর্তি থেকে "শতরূপা" নাম্নী নারী এবং স্বায়ম্ভুব "মনু" নামক পুরুষ সৃষ্টি করলেন। এদের প্রিয়ব্রত ও উত্তানপাদ নামক দুই পুত্র এবং আকুতি, দেবাহুতি ও প্রসূতি নাম্নী তিন কন্যার জন্ম হলো। এভাবে পৃথিবীতে মানুষের বংশ বিস্তার শুরু হলো মনুর বংশধর বলে আমরা "মানব" নামে পরিচিত।

বৈদিক হিন্দুধর্ম

ছবি
বৈদিক হিন্দুধর্ম বেদ কোনও পাপ স্বীকার করেন না, শুধুমাত্র ভ্রান্তিকে স্বীকার করেন এবং সর্বাপেক্ষা বড় ভ্রান্তি, বেদের মতে, নিজেকে দুর্বল ও সর্বকালের পাপী মনে করা। বৈদিক ধর্ম অথবা বেদে প্রতিপাদিত ধর্ম পৃথিবীতে যত ধর্মের কথা জানা যায় তার মধ্যে প্রাচীনতম স্তরের ধর্ম-চর্চা। ভারতে ১৮০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে বেদের আবৃত্তি চলে আসছে। এই ধর্ম প্রায় ২০,০০০ বৎসর প্রাচীন, সভ্য জগতে এই বেদ কথিত ধর্ম থেকেই সকল ধর্মের সূত্রপাত। বেদ ভিত্তিক এই ধর্মের নাম সনাতন ধর্ম, পরবর্তীকালে এর নাম হয় হিন্দুধর্ম অথবা বৈদিক হিন্দুধর্ম। আদিতে এর নাম ছিল সনাতন ধর্ম অর্থাৎ চিরাচরিত জীবনপন্থা। ৪৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত সনাতন ধর্ম অবিঘ্নিত ছিল। আনুমানিক ৪৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ভারত উত্তর - পশ্চিম সীমান্ত থেকে আগত বিদেশী অশ্বারোহীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়। তারা ভারতীয়দের বলত হিন্দু অর্থাৎ সিন্ধুনদের তীরবর্তী অঞ্চলের সভ্যতা। শাসকদের প্রদত্ত নামটি স্থায়ী হয়ে গেল এবং সনাতন ধর্ম কালক্রমে হিন্দুধর্ম নামে পরিচিত হল। 'সনাতন' -এর অর্থ নিত্য, চিরন্তন ;   'ধর্ম'-এর অর্থ মানবিকতাবাদী সৎজীবনে বিশ্বাস। এই বিদেশিদের