হিন্দুধর্ম মতে পৃথিবীর সৃষ্টি

সৃষ্টির আদিতে যখন বিষ্ণু মহাসমুদ্রের অনন্ত জলরাশির উপর মহা নিদ্রায় শায়িত ছিলেন, তখন নাভিকোমল থেকে ব্রহ্মা এবং কানের ভেতর থেকে মধু ও কৈটভ নামে দুই দ্বৈত্যের জন্ম হল। দৈত্যগণ ব্রহ্মাকে হত্যা করতে উদ্ধত হল। ব্রহ্মা স্তব দ্বারা বিষ্ণু ও মহামায়াকে তুষ্ট করলেন। বিষ্ণুর মায়া-নিদ্রা ভঙ্গ হলে তিনি মধু ও কৈটভকে হত্যা করলেন তাদের মেদ থেকে মেদিনী অর্থাৎ পৃথিবীর সৃষ্টি হল। ব্রহ্মা তমসাচ্ছন্ন পৃথিবীতে চন্দ্র-সূর্য, তরকাজির দ্বারা আলোকিত করে একটি উত্তম জীবনের প্রয়োজন বোধ করলেন। প্রথমে তিনি সৃষ্টির বিস্তারের জন্য ঋষিগণের সৃষ্টি করলেন, কিন্তু এরা বংশ বিস্তারে অনাগ্রহী হয়ে তপস্যায় মগ্ন হলেন। এতে  ব্রহ্মা নিজ মূর্তি থেকে "শতরূপা" নাম্নী নারী এবং স্বায়ম্ভুব "মনু" নামক পুরুষ সৃষ্টি করলেন। এদের প্রিয়ব্রত ও উত্তানপাদ নামক দুই পুত্র এবং আকুতি, দেবাহুতি ও প্রসূতি নাম্নী তিন কন্যার জন্ম হলো। এভাবে পৃথিবীতে মানুষের বংশ বিস্তার শুরু হলো মনুর বংশধর বলে আমরা "মানব" নামে পরিচিত।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বিষ্ণু দশ অবতারের পরিচয়

বেদের চনৎকার কিছু শ্লোক।

হিন্দুদের দৈনিক প্রার্থনার মন্ত্র