পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভগবান ও মনীষীদের চরিতামৃত

ছবি
হিন্দুধর্মের বিকাশের পথে সাহায্য করেছে ধর্মের প্রতি প্রগাঢ় বিশ্বাস , সত্য প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা , মহামানবের কর্মময় জীবনের আদর্শ অনুসরণ এবং বিভিন্ন উপাখ্যান হতে লব্দ শিক্ষা । শিক্ষার রাজ্যে মহাপুরুষদের চরিত্র এক বিশাল ভাণ্ডার । উপাখ্যান সমূহ হতে প্রাপ্ত দিক নির্দেশনাও অফুরন্ত । তাই মাত্র কয়েকটি মহিমার বর্ণনা ও উপাখ্যান সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো ভগবান শ্রীকৃষ্ণ : চরিতামৃত শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু : চরিতামৃত জগদ্গুরু শঙ্করাচার্য : চরিতামৃত শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব : চরিতামৃত অন্যান্য মনীষী :   এমনি অগণিত মনীষীর অপরিসীম পরিশ্রম ও অগাধ জ্ঞানভাণ্ডার এবং অফুরন্ত ভক্তির বলে সনাতন ধর্ম যুগােপযােগী ধর্ম হিসেবে সহস্র প্রতিকুলতার মাঝে কালজয়ী ধর্মরূপে পৃথিবীতে শতকোটি মানুষের কঠিন বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু রূপে বিরাজ করছে । নদের নিমাই শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাপ্রভর , দর্শনকে ভিত্তি করে চৈতন্য চরিত্রামৃতসহ বিবিধ গ্রন্থের প্রণেতা শ্রীক কবিরাজ গােস্বামী ভক্তির সাগরে এক অবিশ্বাস্য জোয়ার এনেছেন অনুসারী রঘুনাথ দাস গােস্বামী , নিত্যানন্দ , ঈশ্বরপুরী , শ্রীরূপ - সনাতন , কে মিত্র প্রমুখ

বিষ্ণু দশ অবতারের পরিচয়

ছবি
বিষ্ণু দশ অবতারের পরিচয়  ভগবান বিষ্ণু বিভিন্ন যুগে দশটি অবতারে নিজেকে প্রকাশ করেছেন । যেমন - মৎস্য , কূর্ম , বরাহ , নৃসিংহ , বামন , পরশুরাম , রাম , বলরাম , বুদ্ধ এবং কল্কি । লক্ষণীয় , দশ অবতারের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের উল্লেখ নেই । এর কারণ হচ্ছে , অন্যান্য অবতার ভগবানের অংশবিশেষ । শ্রীমদ্ভাগবতপুরাণে বলা হয়েছে কৃষ্ণস্তু ভগবান্ স্বয়ম্ । অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণ নিজেই ভগবান । তাই দশ অবতারের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের উল্লেখ নেই ।  এখানে সংক্ষেপে ভগবান বিষ্ণুর দশ অবতারে পরিচয় দিচ্ছি :  ১ । মৎস্য অবতার   হাজার - হাজার বছর আগে সত্যব্রত নামে এক ধার্মিক রাজা ছিলেন । তাঁর রাজত্বকালে হঠাৎ পৃথিবীতে নানারূপ অন্যায় - অত্যাচার দেখা দেয় । রাজা তখন জগতের কল্যাণের জন্য ঈশ্বরের করুণা কামনা করেন । একদিন জলাশয়ে স্নানের সময় রাজা সত্যব্রতের নিকট একটি পুটি মাছ এসে প্রাণ ভিক্ষা চায় । রাজা কমণ্ডলুতে করে মাছটিকে বাড়ি নিয়ে এলেন । মাছটির আকার ভীষণভাবে বাড়তে থাকে । তাকে পুকুর , সরােবর , নদী , যেখানেই রাখা হয় , সেখানেই আর ধরে না । রাজা ভাবলেন , ইনি নিশ্চয়ই নারায়ণ । নারায়ণ বিষ্ণুর আরেক নাম । রাজা তখন মাছটির |

শ্রীমদ্ভাগবত - এর শিক্ষা ।

ছবি
শ্রীমদ্ভাগবত - এর শিক্ষা । পুরাকালে নৈমিষারণ্যে শৌনকাদি ঋষিগণ হাজার বছর ধরে মান আনন্দে যজ্ঞাদির অনুষ্ঠান করছিলেন । এমন সময় একদিন উগ্রশ্রবা । পুত্র মহর্ষি সূত সেই যজ্ঞক্ষেত্রে উপনীত হলেন । ঋষিগণ তাঁকে দেখে তা আনন্দিত হলেন । সূত ছিলেন মহর্ষি বেদব্যাসের সমস্ত জ্ঞান ভাণ্ডারের অধিকারী । তাই ঋষিগণ সূতকে অনুরােধ করলেন , তিনি যদি কৃপা করে শাস্ত্রের সার বুঝিয়ে বলেন , তবেই কলির অল্পায়ু মানব মােক্ষলাভ করতে পারে । ঋষিগণ বিশেষভাবে শ্রীকৃষ্ণের লীলা কাহিনী শুনবার জন্যই আগ্রহ প্রকাশ করলেন । ঋষিগণের অতিশয় আগ্রহ দেখে মহামুনি সূত পবিত্র ভাগবত কাহিনী বলতে আরম্ভ করলেন । সর্বপ্রথম তিনি শ্রীহরি মাহাত্ম বর্ণনা করলেন এবং তারপর ভগবানের স্বরূপ ও অবতার কাহিনী বলতে লাগলেন । ভগবান বিশ্ব সৃষ্টির ইচ্ছায় পুরুষ রূপ ধারণ করেন । তিনি আদিকল্পে যখন সমুদ্রে যােগনিদ্রায় মগ্ন ছিলেন , তখন তার নাভিদেশে এক পদ্মের সৃষ্টি হয় । সেই পদ্মে সর্বপ্রথম জন্ম নিলেন লােকপিতামহ ব্রহ্মা । সেই ব্রহ্মা থেকেই পরে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি ।  যে ভগবান পুরুষ রূপ ধারণ করেছিলেন , তিনিই আবার যুগে যুগে বিভিন্ন অবতাররূপে আবির্ভূত হয়েছেন ।