পোস্টগুলি

2016 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

হিন্দুধর্মের উৎপত্তি

ছবি
হিন্দুধর্ম প্রায় ২০০০০* বৎসর প্রাচীন একটি ধর্ম। তিন প্রধান দৈব পুরুষ, পৃথিবীতে ঈশ্বরের বাণীর প্রবক্তা ছিলেন। এরা হলেন ব্রক্ষা বিষ্ণু মহেশ্বর। ব্রক্ষা-মধ্য ভারতে জন্ম, বিষ্ণু (যাঁর অপর নাম নারায়ণ, ছিলেন দক্ষিণ ভারতের অধিবাসি)এবং মহেশ্বর (যাঁর অপর নাম শিব/রুদ্র /শংকর) কাশ্মীর অর্থাৎ উত্তর ভারত থেকে এসেছিলেন।      এই ত্রয়ীর দৈব-প্রবচন এত শক্তিশালী এবং তাঁদের দান এত বিশাল যে তাঁদের ঐশ্বরিক বাণীসমূহ সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশ এবং অন্যান্য বহু দেশকেও প্রভাবিত করেছিল। সেই প্রাচীন যুগেও, যখন যে-কোন প্রকারের যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল অতি অনুন্নত, তাঁদের ঐশ্বরিক ঘোষণা দিকে দিকে বিস্তৃত হয়ে সনাতন ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।      এই তিন ঈশ্বর প্রেরিত পুরুষ আদি দেবতা নামে হাজার হাজার বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছেন। এরাই এই সনাতন ধর্মের প্রবর্তক পিতা। পরবর্তী কালে এই ধর্মের নাম হয় হিন্দু ধর্ম। এই তিন আদি দেবতার মাধ্যমে বেদ প্রকাশ হয়।       হিন্দুধর্ম কোনও একটি গ্রন্থির ওপর প্রতিষ্ঠিত নয় এবং কোনও একটি মানুষকে এর প্রবর্তক বলে গণ্য করা হয় না। হিন্দুরা বেদকে বলেন অপৌরুষেয়ম্। পুরুষ অর্থাৎ মানুষের রচিত নয়,বেদ ঈশ

ভাই ফোঁটা

ছবি
ভাইফো এই উৎসবের পোষাকি নাম  ভ্রাতৃদ্বিতীয়া অনুষ্ঠান ।  কার্তিক  মাসের শুক্লাদ্বিতীয়া তিথিতে ( কালীপূজা র দুই দিন পরে) এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পঞ্জিকা  অনুযায়ী, এই উৎসব কার্তিক মাসের  শুক্লপক্ষের   ২য়   দিন উদযাপিত  হয়। মাঝেমধ্যে এটি শুক্লপক্ষের  ১ম  দিনেও উদযাপিত হয়ে থাকে। পশ্চিম ভারতে এই উৎসব ভাইদুজ  নামেও পরিচিত। সেখানে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া পাঁচ-দিনব্যাপী  দীপাবলি  উৎসবের শেষদিন। আবার, মহারাষ্ট্র, গোয়া ও কর্ণাটকে ভাইফোঁটাকে বলে ভাইবিজ ।  নেপালে  ও  পশ্চিমবঙ্গের   দার্জিলিং  পার্বত্য অঞ্চলে এই উৎসব পরিচিত  ভাইটিকা  নামে। সেখানে বিজয়াদশমীর পর এটিই সবচেয়ে বড় উৎসব। এই উৎসবের আরও একটি নাম হল  যমদ্বিতীয়া । কথিত আছে, এই দিন মৃত্যুর দেবতা  যম  তাঁর বোন যমুনা র হাতে ফোঁটা নিয়েছিলেন। অন্য মতে, নরকাসুর নামে এক দৈত্যকে বধ করার পর যখন  কৃষ্ণ  তাঁর বোন সুভদ্রা র কাছে আসেন, তখন সুভদ্রা তাঁর কপালে ফোঁটা দিয়ে তাঁকে মিষ্টি খেতে দেন। সেই থেকে ভাইফোঁটা উৎসবের প্রচলন হয়। ভাইফোঁটার দিন বোনেরা তাদের ভাইদের কপালে চন্দনের ফোঁটা পরিয়ে দিয়ে ছড়া কেটে বলে- ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল ক

কালী পূজা

মা কালী বা কালিকা হলেও তাঁর অন্য নাম শ্যামা বা আদ্যাশক্তি। প্রধানত শাক্ত ধর্মাবলম্বীরা কালীর পূজা করেন। তন্ত্রশাস্ত্রের মতে, তিনি দশমহাবিদ্যা নামে পরিচিত তন্ত্রমতে পূজিত প্রধান দশ জন দেবীর মধ্যে প্রথম দেবী। শাক্তরা কালীকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আদিকারণ মনে করে। বাঙালি সমাজে দেবী কালীর মাতৃরূপের পূজা করে থাকে। পুরাণ ও তন্ত্র গ্রন্থগুলিতে কালীর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা পাওয়া যায়। তবে সাধারণভাবে তাঁর মূর্তিতে চারটি হাতে খড়্গ, অসুরের ছিন্নমুণ্ড, বর ও অভয়মুদ্রা; গলায় মানুষের মুণ্ড দিয়ে গাঁথা মালা; বিরাট জিভ, কালো গায়ের রং, এলোকেশ দেখা যায় এবং তাঁকে তাঁর স্বামী শিবের বুকের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

লক্ষ্মী পূজা

ছবি
মা লক্ষ্মী তিনি ধনসম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী। তিনি বিষ্ণুর পত্নী। তাঁর অপর নাম মহালক্ষ্মী। লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা। লক্ষ্মী ছয়টি বিশেষ গুণের দেবী। তিনি বিষ্ণুর শক্তিরও উৎস। বিষ্ণু রাম ও কৃষ্ণ রূপে অবতার গ্রহণ করলে, লক্ষ্মী সীতা ও রাধা রূপে তাঁদের সঙ্গিনী হন।[কৃষ্ণের দুই স্ত্রী রুক্মিনী ও সত্যভামাও লক্ষ্মীর অবতার রূপে কল্পিত হন। লক্ষ্মীর পূজা অধিকাংশ  গৃহেই অনুষ্ঠিত হয়। দীপাবলি ও কোজাগরী পূর্ণিমার দিন তাঁর বিশেষ পূজা হয়।সবাই  প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপূজা করে থাকেন।

শুভ মহালয়া।

ছবি
আজ শুভ মহালয়া।পিতৃপক্ষের শেষদিন। এই দিনের তাত্পর্য নিয়ে হিন্দু ধর্মের শাস্ত্র পরিচয় এই বিশেষ পোস্ট। ওঁ পিতা স্বর্গঃ পিতা ধর্মঃ পিতা হি পরমং তপঃ পিতরি প্রীতিমাপন্নে প্রীয়ন্তে সর্বদেবতা আজ মহালয়া, পিতৃপক্ষের শেষ, দেবীপক্ষর সূচনা৷ ।দুর্গাপূজাকে বলা হয় কলির অশ্বমেধ যজ্ঞ৷।এই মহাযজ্ঞের সূচনা মহালয়ার ক্ষণ থেকে৷পিতৃপুরুষের কাছে আমরা ঋণী, তাই তাঁদের জল নিবেদনের জন্য একটি বিশেষ ক্ষণের প্রয়োজন৷সেই বিশেষ ক্ষণটি হল মহালয়া৷ যদিও আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষ থেকে পিতৃপক্ষের সূচনা হয় এবং সেই কৃষ্ণপক্ষের প্রতিটি দিনই পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে জলদান করা যায়৷। কিন্তু পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে জলদানের প্রকৃষ্ট দিনটি হল মহালয়া তিথি৷গঙ্গার ঘাটে ঘাটে আজ শ্রদ্ধা নিবেদনের ভিড়৷ পুণ্যতোয়া নদীতে নাভি পর্যন্ত জলে দাঁড়িয়ে তর্পনকারী প্রথমে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের উদ্দেশ্যে তর্পন দান করেন৷তারপর দেবতা, যক্ষ, নাগ, বিদ্যাধরদের তৃপ্তিলাভের জন্য জলদান করা হয়৷জলদান করা হয় আদি মানবের উদ্দেশ্যে৷ এঁদের মধ্যে সনক, সনন্দ, সনাতন, কপিল ইত্যাদি রয়েছেন৷।এরপর হয় ঋষিতর্পণ৷ ব্রহ্মার মানসপুত্রদের তৃপ্তিলাভের জন্য জলদান করা হয়।মরীচি, অত্রি,

পিতৃ পুরুষদের তর্পন মন্ত্র।

ছবি
তর্পণ করার জন্য কি কি লাগবে: গঙ্গাজল না হলে পরিষ্কার জল, কালো তিল এবং কূশ। ‘প্রাদেশ’ মাপের ছ’টি কূশ প্রথমে জলে ভিজিয়ে রেখে সেটা নরম হলে একত্রে তিনটি কূশ নিয়ে অণামিকা আঙুলে আংটির মতো ধারণ করে তর্পণ করবেন। বাঁ আঙুলেও একই ভাবে কূশাঙ্গরীয় ধারণ করবেন। কূশ ও তিল যদি না পাওয়া যায় তবে শুধু জলেই তর্পণ করতে পারেন। ভিজে কাপড়ে জলে দাঁড়িয়ে কিংবা শুকনো কাপড় পরেও এক পা জলে এক পা স্থলে রেখে পূর্ব দিকে মুখ করে তর্পণ করতে হয়। প্রথমে দু’বার আচমন করুন। এর পরে বাঁ কাঁধে যজ্ঞপবীত (পৈতে) রেখে দেবতর্পণ করবেন। (অব্রাহ্মণগণ ওঁ-এর জায়গায় নমঃ বলবেন অবং ঋগ্বেদী ব্রাহ্মণগণ তৃপ্যতাম-এর জায়গায় তৃপ্যতু বলবেন।) জল নিয়ে বলবেন— ওঁ ব্রহ্ম তৃপ্যতাম্ ওঁ বিষ্ণু স্তৃপ্যতাম্ ওঁ রুদ্র স্তৃপ্যতাম্ ওঁ প্রজাপতি স্তৃপ্যতাম্। এর পরে হাতের আঙুলের অগ্রভাগে দু’হাতে এক এক অঞ্জলি জল দেবেন। এর পরে বলবেন— ওঁ দেবা যক্ষাস্তুথা নাগা গন্ধর্ব্বাপ্ সরসোহসুরাঃ। ক্রূরাঃ সর্পাঃ সুপর্ণাশ্চ তরবো জিহ্মগাঃ খগাঃ। বিদ্যাধরা জলাধারা স্তথৈবাকাশগামিনঃ। নিরাহারশ্চ যে জীবাঃ পাপে ধর্ম্মে রতশ্চ যে। তেষামাপ্যায়নায়ৈতদ্ দীয়তে সলিলং ময়া। এই মন্ত্র আরও এক অঞ্

শ্রী শ্রী বিশ্বকর্মা পূজা।

ছবি
বিশ্বকর্মা পূজা দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার আশিস কামনায় এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বকর্মা চতুর্ভুজ ও গজারূঢ়। তাঁর আকৃতি অনেকটা কার্তিকের মতো। বিশ্বকর্মা বেদে বিশ্বকর্মাকে পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তারূপে বর্ণনা করা হয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাস মতে তিনি বিশ্বের তাবৎ কর্মের সম্পাদক। তিনি শিল্পসমূহের প্রকাশক, অলঙ্কার শিল্পের স্রষ্টা, দেবতাদের গমনাগমনের জন্য বিমান নির্মাতা ইত্যাদি। অর্থাৎ শিল্পবিদ্যায় তাঁর একচ্ছত্র অধিকার। তাই যাঁরা শিল্পকর্মে পারদর্শিতা লাভ করতে চান, তাঁরা বিশ্বকর্মার অনুগ্রহ কামনা করেন। রামায়ণে বর্ণিত অপূর্ব শোভা ও সম্পদবিশিষ্ট লঙ্কা নগরীর নির্মাতা বিশ্বকর্মা বলে কথিত। তিনি উপবেদ, স্থাপত্যবেদ ও চতুঃষষ্টিকলারও প্রকাশক। দেবশিল্পিরূপে তিনি দেবপুরী, দেবাস্ত্র ইত্যাদিরও নির্মাতা। জনশ্রুতি আছে যে, পুরীর প্রসিদ্ধ জগন্নাথমূর্তিও বিশ্বকর্মা নির্মাণ করেন। ভাদ্রমাসের সংক্রান্তিতে কলকারখানায় বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে বিশ্বকর্মার পূজা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য দেব-দেবীর মতোই মূর্তি গড়ে অথবা ঘটে-পটে বিশ্বকর্মার পূজা করা হয়। সূতার-মিস্ত্রিদের মধ্যে এঁর পূজার প্রচলন সর্বাধিক। তবে বাংলাদেশে  স্বর্ণকার,

শুভ রাধাষ্টমী

ছবি
সবাই 'কে রাধাষ্টমার শুভেচ্ছা ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে বিশাখা নক্ষত্রে বৈশ্য বৃষভানুর স্ত্রী কলাবতীর গর্ভে শ্রীমতি রাধিকা জন্মগ্রহণ করেন। এ জন্য ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিকে রাধাষ্টমী / রাধাজয়ন্তী বলা হয়।
http://hindushastra.simdif.com

শ্রী রাধা কৃষ্ণ

ছবি