পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আর্যদের ধর্মীয় বিশ্বাস

ছবি
আর্যদের ধর্মীয় বিশ্বাস আর্যদের যে পরিচয় পাওয়া যায় তা হতে পরিষ্কার হয় যে আর্যদের ধর্মীয় বিশ্বাস ছিল সহজ ও সরল।আর্যগণ প্রকৃতির রূপ দেখে ও বিস্মিত হয়েছেন, দেবতার কল্পনা করেছেন। তাদের উপাস্য দেবতা ছিলো আলোর দেবতা সূর্য, আকাশের দেবতা দ্যৌঃ, বায়ুর দেবতা মরুৎ, জলের দেবতা বরুণ, বৃষ্টি ও বজ্রের দেবতা ইন্দ্র। ইন্দ্র ও বরুণ ছিলেন দেবতাগণের মধ্যে প্রধান। উষা, সরস্বতী, পৃথিবী প্রমুখ দেবীর উল্লেখও ঋগ্বেদে আছে। আর্যরা ছিলেন মূলতঃ প্রকৃতির উপাসক। আর্যরা মনে করতেন সকল দেবতাই এক অদ্বিতীয় মহাশক্তির বিভিন্ন রূপ। উপনিষদে এই এক ব্রহ্ম চিন্তারই প্রধান্য ঘটেছে। আর্যগণ অগ্নিকুণ্ড প্রজ্বলিত করে দুগ্ধ,ঘৃত প্রভৃতি প্রিয় আহার্য উপাস্য দেবতাকে নিবেদন করার প্রাক্কালে বৈদিক মন্ত্রও পাঠ করতেন। বেদের ব্রাহ্মণ অংশ যখন রচিত হয় তখন যজ্ঞ ক্রিয়ার নানা জটিলতা দেখা দেয় এবং বৈদিক মন্ত্রাদিতে জ্ঞান সম্পন্ন এক শ্রেণীর লোকের উদ্ভব হয়। এই শ্রেণীর পুরোহিত, যাদের প্রাধান্যে বৈদিক ধর্মের আন্তরিকতার লুপ্ত হয়ে যাগ যজ্ঞের ক্রিয়াকলাপই মূখ্য হয়ে দেখা দেয়। বেদ সত্য ও প্রকৃত জ্ঞানের ভান্ডার। ইহা শাশ্বত, ইহার সৃষ্টি

বর্ণবাদ বা জাতপ্রথা

ছবি
ঋগ্বেদের পুরুষ সূক্তের একটি মন্ত্র ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্রের সংবাদ প্রথম দিয়েছে। এই মন্ত্র আরোও জানিয়েছে যে এক ঈশ্বর থেকে চার বর্ণের মানুষ সৃষ্টি হয়েছে। সেসব স্থান থেকে বর্ণগুলো সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো হলো, মুখ থেকে ব্রাহ্মণ, বাহু থেকে ক্ষত্রিয়, উরু থেকে বৈশ্য এবং পদযুগল থেকে শূদ্র। উৎপত্তিস্থল অনুসারে পর্যালোচনা করলে বর্ণবাদের তাৎপর্য পরিষ্কার হয়ে ওঠবে। যেমন : ব্রহ্মার মুখ থেকে  জন্মেছে ব্রাহ্মণ বলে তাদের প্রধান কাজ হল মন্ত্রোউচ্চারণ, ঈশ্বরের গুণগান, সৎ উপদেশ দেওয়া। বাহু হলো বলের প্রতীক। যেসব ব্যক্তি বাহুবলের উপর নির্ভর করে ভয়ভীতি তুচ্ছ গণ্য করে অপরের উপকার ও অপরকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসেন, তারাই ক্ষত্রিয়। উরু পুষ্টির প্রতীক, কর্মের প্রতীক। ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি কর্ম, পশুপালন এসব করে যারা সমাজকে রক্ষা ও প্রতিপালন করবে তারাই বৈশ্য।পদযুগল হল শ্রমের প্রতীতুচ্ছ। যারা সমাজকে বাঁচিয়ে রাখবে তারাই শূদ্র।গীতায় শ্রীভগবান বলেছেন,  "চার্তুবর্ণ্য ময়া সৃষ্টং গুণকর্ম বিভাগশঃ "। এভাবে ভগবানের মুখনিঃসৃত বাণী হতে বর্ণভেদ প্রথার সূচনা হয়। মনুসংহিতার এই চার বর্ণের মানুষের কা