পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভগবান কৃষ্ণ এবং ভগবদগীতাঃ মূল শ্লোকসমূহ ।

ছবি
ভগবান কৃষ্ণ এবং ভগবদগীতাঃ মূল শ্লোকসমূহ ।  মূকং করােতি বাচালং , পঙ্গুং লংঘয়তে গিরিম্  যৎ কৃপা তমহং বন্দে , পরমানন্দ মাধবম্ ।  অর্থ- আমি ভগবান কৃষ্ণকে প্রণাম করি , যার কৃপায় মূক বাচাল হয় , পঙ্গু গিরি লঙ্ঘন করতে পারে । ঈশ্বরের কৃপা বর্ষণ হলে , কৃষ্ণময় জীবন আনন্দ ভূমিতে পরিণত হয় ।  ভগবান কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল মথুরায় ১৫৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে । তার পিতার নাম বাসুদেব ও মাতার নাম দেবকী । মথুরার রাজা ছিলেন কংস নামে এক নরপতি । তিনি ছিলেন সম্পর্কে দেবকীর ভাই অর্থাৎ কৃষ্ণের মাতুল । কংস দুবৃত্ত , অত্যাচারী ছিলেন , তার অত্যাচার থেকে কেউ নিস্তার পেতনা , এমনকি মুনি - ঋষিদেরও তিনি অব্যাহতি দিতেন না । কংস তার পিতা উগ্রসেনকে কারারুদ্ধ করে মথুরার রাজমুকুট তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন ।  এক দৈবজ্ঞ কংসকে বলেন , “ তােমার ভগ্নী দেবকীর অষ্টম গর্ভের পুত্রের হাতে তুমি নিহত হবে । তাই দেবকীর বিবাহের পরেই রাজা কংস দেবকী ও বাসুদেবকে কারাগারে নিক্ষেপ করেন । প্রত্যেক বার দেবকীর সন্তান ভূমিষ্ঠ হলেই কংস নিজে এসে শিশুটিকে হত্যা করতেন ।  দেবকী অষ্টমবার গর্ভবতী হলেন । বিষ্ণুর ভগবৎ সত্ত্বা দেবকীর অ

মহাভারত

ছবি
মহাভারত মহাভারত-এর মূল উপজীব্য বিষয় হল কৌরব ও পাণ্ডবদের গৃহবিবাদ এবং কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পূর্বাপর ঘটনাবলি। তবে এই আখ্যানভাগের বাইরেও দর্শন ও ভক্তির অধিকাংশ উপাদানই এই মহাকাব্যে সংযোজিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ – এই চার পুরুষার্থ-সংক্রান্ত একটি আলোচনা । সংযোজিত হয়েছে এই গ্রন্থে। মহাভারত-এর অন্তর্গত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রচনা ও উপাখ্যানগুলি হল ভগবদ্গীতা, দময়ন্তীর উপাখ্যান, রামায়ণ-এর একটি সংক্ষিপ্ত পাঠান্তর ইত্যাদি; তবে এগুলিকে মহাভারত-রচয়িতার নিজস্ব সৃষ্টি বলে মনে করা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, মহাভারত-এর রচয়িতা ব্যাসদেব। অনেক গবেষক এই মহাকাব্যের ঐতিহাসিক বিকাশ ও রচনাকালীন স্তরগুলি নিয়ে গবেষণা করেছেন। অধুনা প্রাপ্ত পাঠটির প্রাচীনতম অংশটি মোটামুটি ৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ রচিত হয়।মহাভারতের মূলপাঠটি তার বর্তমান রূপটি পরিগ্রহ করে গুপ্তযুগের প্রথমাংশে (খ্রিষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দী)। মহাভারত কথাটির অর্থ হল ভরত বংশের মহান উপাখ্যান। গ্রন্থেই উল্লিখিত হয়েছে যে ভারত নামে ২৪,০০০ শ্লোকবিশিষ্ট একটি ক্ষুদ্রতর আখ্যান থেকে মহাভারত মহাকাব্যের কাহিনিট

স্বামী বিবেকানন্দ ও তাঁর দর্শন ।

ছবি
স্বামী বিবেকানন্দ ও তাঁর দর্শন ।  স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন , “ উপনিষদের প্রতি পাতায় আমাকে যার কথা বলা হয়েছে তা হল সাহস । এইটিই সবচেয়ে মনে রাখবার কথা । আমার জীবনে এই একটি বড়াে শিক্ষাই আমি নিয়েছি । হে মানুষ ! বীর্যবান হও , দুর্বল হােয়াে না ! ”  স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন , “ জাতি হিসেবে আমরা যা কিছু । পেয়েছি সবই আমাদের দুর্বল করেছে । ” মনে হয় সেই সময় জাতির জীবনের একটিই উদ্দেশ্য ছিল , কী করে আমাদের দুর্বল থেকে দুর্বলতর করা যায় । শেষ পর্যন্ত আমরা কেচোতে পরিণত হয়েছি , যে কেউ তরবারি দেখিয়ে আমাদের পদানত করেছে তার । পায়ের তলায় থাকবার জন্যে ।  আমি যা চাই তা হল লৌহনির্মিত পেশী এবং স্বাস্থ্য । শক্ত ধাতুতে নির্মিত মন । পৌরুষের পূজা করাে ।  সব শক্তি তােমার মধ্যে আছে । তুমি সব কিছু করতে পার , তা বিশ্বাস করাে ভেবােনা তুমি দুর্বল । তুমি যা ইচ্ছা তাই করতে পার । কারও নির্দেশ ছাড়াই । সবশক্তি তােমার মধ্যে আছে । উঠে দাঁড়িয়ে | তােমার ভিতরকার দেবত্বকে প্রকাশ করাে ।  তােমার দেশ বীর চায় , বীর হও । পাহাড়ের মত দৃঢ় হও । সত্য সর্বদা জয়ী হয় , দেশের লােক যা চায় তা হল জাতি