পোস্টগুলি

2017 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সংস্কৃত নাম/শব্দের অর্থ

ছবি
সংস্কৃত নাম/শব্দের অর্থ অবতারবাদ - হিন্দুরা বিশ্বাস করে পুনজন্মে, অর্থাৎ বিশ্বাস করে যে একজন পূর্বজন্মের কিছু কিছু গুণাবলি নিয়ে আবার জন্মগ্রহণ করে। হিন্দুধর্মের তিন প্রধান দেবতা ছিলেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বর। মহালক্ষ্মী ছিলেন বিষ্ণুর স্ত্রী, মহেশ্বরের স্ত্রী ছিলেন ভগবতী এবং পুত্রেরা ছিলেন কার্তিকেয় এবং গণেশ। বারে বারে মহৎ মানুষেরা হিন্দূ সমাজে দেবতারূপে এসেছেন এবং তাঁদের অধিকাংশকে পূর্বে কোনো দেবতা অথবা তাঁর পত্নীর অবতার বলে গণ্য করা হয়। যেমন ভগবান রাম, ভগবান কৃষ্ণ, ভগবন বেঙ্কটেশ্বর, ভগবান বালাজিকে বিষ্ণুর অবতার মনে করা হয়। ভগবান শিব, ভগবান নটরাজ, ভগবান সুব্রাহ্মমণিয়মকে  মহেশ্বরের অবতার বলা হয়। দুর্গা ও কালীকে ভগবতীর অবতার মনে করা হয়। ব্রহ্ম - ঈশ্বরের অনেক নামের একটি। ব্রহ্মা - সনাতন ধর্মের প্রথম তিন প্রবক্তাদের একজনের নাম। তিনি মধ্য ভারতীয়। বিষ্ণু - সনাতন ধর্মের প্রথম তিন প্রবক্তাদের একজনের নাম। তিনি দক্ষিণ ভারতীয় ছিলেন। তিনি নারায়ণ অথবা ভগবান বেঙ্কটেশ্বর নামেও খ্যাত। বিষ্ণুঁ - ঈশ্বরের অনেক নামের একটি, বিষ্ণু শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত মূল 'বিস' থেকে, যার অর্থ ব্যা

হিন্দুধর্মের মূলনীতিসমূহ

ছবি
হিন্দুধর্মের মূলনীতিসমূহ ১। সাধারণ জ্ঞান আহরণ করে, অজ্ঞানতার অন্ধকারে থাকা পাপ। ব্যক্তির অধিকার মূলত তার নিজস্ব কর্তব্য (আসক্তি ও আশঙ্কা ত্যাগ করে) যথাসাধ্য উত্তর রূপে পালনের চেষ্টা করা। অবস্থা অনুযায়ী ফললাভ অবশ্যই হবে। ২। দান দয়ার প্রকাশ। লাভের প্রত্যাশা না করে উপযুক্ত সময়, উপযুক্ত স্থানে, উপযুক্ত পাত্রকে দান করা দয়ার প্রকাশ এবং এই রকম দান ঈশ্বরকে প্রিত করে। ৩। দেহ একটি নৌকাস্বরূপ, যার প্রথম এবং প্রধান কাজ জীবন সমুদ্রের অপর তীরে অমরত্বের উপকূলে পৌছে দেওয়া। ৪। ঈশ্বরকে হৃদয়, আত্মা ও সর্বশক্তি দিয়ে ভালবাসতে হবে। যে কেউ ঈশ্বরের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করে, সে নীতিজ্ঞান বর্জিত মানুষ। সে মানুষে ও মানবতার শত্রু। ৫। হত্যা, ব্যাভিচার, চৌর্য, মিথ্যাভাষণ, অপরের সম্পত্তিতে লোভ ঈশ্বরকে ত্রুুদ্ধ করে। সৎভাবে জীবন যাপন, অমায়িক ব্যবহার এবং নিজ পরিশ্রমে জীবন ধারণ কর্তব্য। ৬। যে অপরের অপরাধ ও পাপ ক্ষমা করে। ঈশ্বর তাকে তার কৃত অপরাধ ও পাপ ক্ষমা করেন। ৭। বুদ্ধি বৃত্তিকে অস্ত্রের মতো শাণিত করতে হবে, যেন সেটি দুঃখের কারণকে বিদ্ধ করে বিনাশ করতে পারে। ৮। প্রার্থনা করার জন্যে মন্ত্র অথবা শ্লোক না জানলে

বর্ণভেদ প্রথা ইতিহাস

ছবি
বর্ণভেদ প্রথা ইতিহাস মধ্য এশিয়া থেকে আগত আক্রমণকারীদের সামাজিক শোষণ এবং নৈতিক ভ্রষ্টাচার কায়েম রাখার উদ্দেশ্য হিন্দুদের বিভক্ত ও দুর্বল করবার জন্যে এই বর্ণভেদ প্রথার প্রবর্তন। এই আক্রমণকারীদের আগমনের পূর্বে সাধারণত শ্রমকে চারটি প্রধান ভাগে বিভক্ত করা হত অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য। যাঁরা শিক্ষালাভ এবং শিক্ষাদানের জীবিকা বেছে নিতেন তাঁদের বলা হত ব্রাহ্মণ, যুদ্ধবিদ্যায় যাঁরা পারদর্শিতা লাভ করতে চাইতেন তাঁদের বলা হত ক্ষত্রিয়, বুদ্ধিমান ব্যক্তি যাঁরা বৈষয়িক সম্পত্তি সৃষ্টিতে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন তাঁদের বলা হত বৈশ্য এবং কারিগর ও সাধারণভাবে শিল্পনৈপুণ্যের অধিকারীদের বলা হত শূদ্র। প্রত্যেকে নিজের নিজের পছন্দ ও বিশেষ জ্ঞান ও কুশলতা অনুযায়ী কর্মে লিপ্ত হয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ঋগ্বেদের যুগে একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যরা বিভিন্ন বৃত্তি অবলম্বন করতেন। আনুমানিক ৪৫০০ থেকে ৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে যাযাবর রক্তলোলুপ বিদেশী অশ্বারোহী সৈনিকেরা দলে দলে, বারে বারে স্বর্ণ লোভে ভারত আক্রমণ করে। নতুন শাসকেরা অর্থনৈতিক শ্রেণী বিভাগকে চার প্রধান বর্ণে বিভাজিত করেন। হিন্দুদের এর মাধ্যমে