পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বিষ্ণুর দশ অবতার চক্র

ছবি
বিষ্ণুর দশ অবতার চক্র হিন্দু দর্শনে 'দশাবতার' চক্রর মাধ্যমে যে দশ জন অবতারকে (মৎস,কূর্ম, বরাহ,নরসিংহ, বামন,পরশুরাম, রাম,কৃষ্ণ, বুদ্ধ ও কল্কি)  সাজানো হয়েছে তা নিঃসন্দেহে ক্রমবিবর্তনবাদের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। বহু সময় আগে সূর্য অংশ বহু বছর আবার্তিত হতে হতে ঘনীভূত ও শাতল হয়ে তৈরী হয় পৃথিবী গ্রহ। সৃষ্টির আদিতে পৃথিবী ছিল জলময়। সেই জলের প্রথম প্রাণীই হল মীন বা মৎস (প্যালিয়োজোয়িক কল্পের সিলুরিয়ান-ডিভোনিয়ান যুগকেই মৎস যুগ বলে) এই সময় ভগবান, মীনরূপে বেদোদ্ধার করেছিলেন। এই বেদ কিন্তু গ্রন্থ নয়, সৃষ্টি জ্ঞান। তখন সে পারঙ্গম হয়েছে বংশ রক্ষায়, যা ছিল সে যুগের জীবনবেদ।  মন্ত্র ছিল-                   গোত্রং নো বর্ধতাম্। এলেন দ্বিতীয় অবতার - কূর্ম। জল ছেড়ে সে ডাঙ্গায় উঠতে শিখেছে, অর্থাৎ উভয়চর প্রাণী, শিখেছে বাতাস থেকে সরাসরি অক্সিজেন গ্রহণ করতে  (ডিভোনিয়ান-কার্বনিফেরাস যুগ) কূর্ম, জল থেকে কাদা মেখে ডাঙ্গায় উঠে এল - এটাই হল তার ধরণী-ধারণ। তৃতীয় অবতার  - বরাহ। সে এখন ডাঙ্গার প্রাণী হলেও জলের মায়া ত্যাগ করতে পারেনি - বাস করে কাদায়। বিবর্তিত হয়েছে স্তন্যপায়ী জীবে-শিখেছে সন্তান প্রসব করতে (সেন