পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মনুস্মৃতি

ছবি
মনুস্মৃতি   আনুমানিক ৩৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে একদল আক্রমণকারী উত্তর পশ্চিম সীমান্ত থেকে এসে এ দেশ জয় করে নেয় । তারা শুধু যে অধিবাসীদের আধিভৌতিক জীবনকেই নিজেদের অধীনে নিয়ে । আসে তা নয় , সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও তারা আক্রমণ চালাতে চায় । এমনকি বেদ - এর উপরেই তারা ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করতে চায় । বেদ ধর্মীয় ক্ষেত্রে , ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে , সামাজিক আচার - আচরণে জীবন যাত্রার পথে আলােকসম্পাত করে ভারতীয়দের পথ প্রদর্শন করত এবং একেশ্বরবাদী ছিল । বলপূর্বক তাকে পারসিক সূর্য এবং ইন্দ্র - উপাসনা এবং বলিদানের ধর্মীয় রীতির সঙ্গে মিশ্রিত করে দেওয়া হয় । মুনি - ঋষিরা অনেকে দক্ষিণ ভারতে পলায়ন করেন , হিমালয়ের গুহাকরে আশ্রয় গ্রহণ করেন । পারস্য এবং এশিয়া মাইনর থেকে আগত শাসকগণ সমাজকে বিভক্ত করে তাকে দুর্বল এবং পদানত করে নিজেদের রাজকার্যে ব্যবহার করতে চায় ।  পরে আনুমানিক ৩২৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মনু ( অনেকের দৃঢ় বিশ্বাস  তিনি জার্মান বংশােদ্ভূত ছিলেন ) সামাজিক কর্ম - বিভাগের এক কঠোর বিধানের প্রবর্তন করেন এবং তার নাম দেন মনুস্মৃতি । মনু | নিজে এক প্রতিভাশালী ব্যক্তি ছিলেন এবং দক

বেদের চনৎকার কিছু শ্লোক।

ছবি
বেদের শ্লোক  বেদ অখিলে - ধর্মমূলম্ ।  বেদ - সমূহ নিখিল বিশ্বের সকল ধর্মের মূল ।   মধু মে জিহবায়াং দধাতু পরমেশ্বর  যেনা হং সর্বপ্রিয়ঃ সর্বজনেভ্যঃ ভূয়ামম ।  অর্থ_ আলোকের দেবতা ! আমাকে মধুর মিষ্টত্বে পূর্ণ করাে , যেন আমি জনসমষ্টিকে বেদের অপরূপ বাণী শােনাতে পারি ।  নাসদাসীন্নো সদাসীৎ তদানীং নাসীদ্ৰজো নাে ব্যোমা পরাে যৎ ।  কিমাবরীবঃ কুহ কস্য শর্মন্নম্ভঃ কিমামীদ্ গহনং গভীরম্ ।  ন মৃত্যুরামীদমৃতং ন তর্হি ন রাত্রয়া অহ্ন আসীৎ প্রকেতঃ ।  আনীদবাতং স্বধয়া তদেকং তস্মাদ্ধান্যন্ন পরঃ কিং চনাসঃ ।  তমঃ আসীৎ তমসা গৃহ্যমগ্রে অপ্রকেতম্ সলিলং সর্বমা ইদম্ ।   তুচ্ছয়েনাতৃপিহিতং যদাসীৎ তপসস্তনহিনাজায়তৈকম্ ।  অর্থ- সেই সময়ে অস্তিত্ব ছিল না , অনস্তিত্বও ছিল না । বায়ু ছিল না , আকাশ ছিল না , অতল গভীর জলরাশি ছিল না , মৃত্যু ছিল না , অমরত্বও ছিল না , দিবস ছিল না , রাত্রিও ছিল না । একমাত্র সেই পুরুষ ছিলেন , তিনি ব্যতীত আর কিছুই ছিল না । সমস্ত কিছু । অন্ধকার ও শূন্য ছিল । পরে বায়বীয় বস্তুতে আচ্ছন্ন হলাে । তারপরে সৃষ্টি হল অবিচ্ছিন্ন জলরাশি । সেই পুরুষ উখিত হলেন , যিনি সর্ব

বেদের বৈশিষ্ট্য কয়েকটি বিশেষ দৃষ্টিকোণ।

ছবি
বেদের বৈশিষ্ট্য কয়েকটি বিশেষ দৃষ্টিকোণ থেকে আলােচনা করা হলো :  ( ১ ) প্রাকৃতিক দৃষ্টিকোণ :  বিভিন্ন দেবতাদের উদ্দেশ্যে বৈদিক স্তবস্তুতি ও প্রার্থনা সমূহ প্রাচীনতম ধর্মের ভাণ্ডার । কিছু কিছু বৈদিক কর্মকাণ্ড প্রকৃতিকে আরাধনা করার সাথে সম্পৃক্ত । ঋকবেদের প্রধান দেবতা ছিল মানুষের কল্যাণে নিয়ােজিত প্রকৃতি । অথর্ব বেদ প্রাচীনতম যাদুমন্ত্র ও তান্ত্রিক পদ্ধতির সংগ্রহ সমূহ ।  বৈদিক আর্যগণ প্রণব মন্ত্র , ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর ছাড়াও ইন্দ্র , অগ্নি , সােম ইত্যাদির উপাসনাকে প্রাধান্য দিতেন । দেবতা অগ্নি , আলাে যা ছাড়া সৃষ্টি সম্ভব নয় , তার উদ্দেশ্যেই দুই শতাধিক স্তব স্তুতি নিবেদিত হয়েছে । আগুনের উদ্দেশ্যে নিবেদনের লক্ষ্য হচ্ছে অশুভ প্রভাবকে দূরীকরণ । অগ্নি যাত্রাকে সুগম করে , দেহকে উত্তপ্ত করে এবং দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করে । ইন্দ্র ঋগ্বেদে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দেবতাদের রাজা । প্রাথমিকভাবে তাকে সৃষ্টির দেবতা বলেই মনে করা হয় । ঋগ্বেদের প্রায় এক চতুর্থাংশ স্তবস্তুতি ইন্দ্রের উদ্দেশ্যেই নিবেদিত । সােমদেবতার উদ্দেশ্যে একশত চৌদ্দটি স্তবকীর্তন ঋগ্বেদে স্থান পেয়েছে । সােমরসকে শ