মূর্তি পূজার ইতিহাস

মূর্তি পূজা

"আমরা প্রত্যেকে রাজাধিরাজ ঈশ্বরের সিংহানের উত্তরাধিকারী"।

হিন্দুর দৃষ্টিতে ঈশ্বর একমাত্র পরম আরাধ্য দেবতা। অন্য কোনও দেবতাকে ঈশ্বর জ্ঞান করার কোনও প্রশ্ন নাই। ঈশ্বর তিনি (দেবতে/দেবাডু/ঈশ্বরণ/কাডাভু/ইরাইবন, এই সব নামেও দক্ষিণ ভারতে অভিহিত হয়ে থাকেন) যিনি সর্বব্যাপী এবং সর্বশক্তিমান তাঁর কার্য সমাধা করাবার জন্যে তাঁর কোনো সহযোগীর প্রয়োজন হয় না। পরমেশ্বর তাঁকেই বলা হয় যাঁর থেকে নাম ও রূপের এই সমগ্র বিশ্বের উৎপত্তি। তাঁরই করুণায় পৃথিবীর অস্তিত্ব বিদ্যমান, তারই মধ্যে অন্তিমে এর বিলয়।

                   ঈশ্বরঃ পরমৈকস্বরূপঃ
স নিত্যঃ সর্বব্যাপী বিভুরনাদিরনন্তশ্চ স নিরাকারো নিরূপো বর্ণনাতীতো নিষ্কম্পশ্চ।
ক্কচিৎ শব্দরূপেণ স আত্মানং প্রকাশয়তি স বিধাতা
কারণানাং কারণং তথা সর্বশক্তিমান্ তদিচ্ছাপুরাণায় কস্যাপি সহায়স্য প্রয়োজনং ন বর্ততে।
যতো দ্বিতীয়াঃ কোঅপি নাস্তি।

ঈশ্বর পরমৈশ্বর্যসরূপ, নিত্য, সর্বব্যাপী, অনাদি-অনন্ত, নিরূপ, বর্ণনাতীত, নিষ্কম্প। কখনও কখনও শব্দরূপে তিনি আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি সৃষ্টিকর্তা, সমস্ত কারণের কারণ, তিনি সর্বশক্তিমান, তাঁর ইচ্ছাপূরণের জন্য কোনও সহায়কের প্রয়োজন হয় না।

ঈশ্বর পরম সত্য। তাঁর আরেক নাম বিষ্ণুঁ। বিষ্ণুঁ এবং ব্রহ্মকে সনাতন ধর্মের দুই আদি দেবতা বিষ্ণু এবং ব্রহ্মার সঙ্গে ভুল করে ফেলা উচিত নয়। বানানের সাদৃশ্যের জন্য ভ্রান্তির উৎপত্তি হয়। সে বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বিষ্ণুঁ শব্দটির উৎপত্তি 'বিষ' থেকে, যার অর্থ ব্যাপ্তি। বিষ্ণুঁ সর্বব্যাপী ঈশ্বর যার আদিও নেই,অন্তও নেই। তাঁর জন্মদাতার প্রয়োজন হয়নি। মানুষই এই পরমপুরুষকে নাম দিয়েছে 'ঈশ্বর', বিভিন্ন ধর্মের লোক তাঁর বিভিন্ন নাম দিয়েছে। হিন্দুরা তাঁকে বলে ঈশ্বর / ব্রহ্ম প্রভৃতি। ঈশ্বরে প্রতীক 'ওঁ'।

বেদ বলেছেন :

ঈশ্বর: তস্য দূতরুপেণ পৃথিব্যাং প্রেরয়তি দেবান্ তস্মাচ্চ মঙ্গলং প্রাপ্নোতি।
ঈশ্বর পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে দেবতাদের তাঁর দূতরূপে প্রেরণ করেন, যার ফলে মানবজাতির মঙ্গল হয়।

হিন্দুরা বিশ্বাস করেন যে, ঈশ্বর তাঁর নিজের এক অংশ দেবতারূপে বিশ্ববাসীর কাছে প্রেরণ করেন মানুষকে অধিকতর ফলদায়ী সুসমঞ্জস্য জীবন যাপনের পথ প্রদর্শনের জন্য।

এই দূতগণকে হিন্দুরা ঈশ্বরের প্রতিরূপ হিসেবে গণ্য করেন এবং তাঁরা দেবতা নামে অভিহিত হন। এরা অতিশয় আদৃত ও প্রদ্ধাস্পদ হিন্দুবীর। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন এই পৃথিবীতে লীলার অন্তে (অর্থাৎ মর্ত্যজীবের ন্যায় পার্থিব জীবনের অবসানে) তাঁরা স্বর্গে প্রত্যাবর্তন করে ঈশ্বরের মধ্যে লীন হয়ে যান।

হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, দেবতাগণ এই পৃথিবীতে বর্তমান না থেকেও পথপ্রদর্শন ও সাহায্য করতে পারেন। হিন্দুরা এই দেবদূতদের মূর্তি নির্মাণ করে উৎসব করেন এবং তাঁদের মাধ্যমে ঈশ্বরের পূজা করেন। এই দূতদের বলা হয় প্রতিমা অথবা দেবতা। হিন্দুরা জানেন এই মূর্তি ঈশ্বর নন। ঈশ্বরের ওপর মনঃসংযোগ করার জন্য একটি মাধ্যম মাত্র এবং প্রতিমাকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন প্রকৃতপক্ষে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের উপাসনা। যেমন, একজন দেশভক্ত তার জাতীয় পতাকাকে অভিবাদন করে, পৃথিবীর যেখানেই তাকে দেখতে পাক না কেন।

সকলেই জানেন জাতীয় পতাকা একখণ্ড বস্ত্র এবং কিছু রঙ মাত্র, সেটি জাতি নয়। তবু জাতীয় পতাকার অসম্মান দেখলে একজন দেশভক্ত তার জীবন পর্যন্ত বিসর্জন দিতে প্রস্তুত থাকে। জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শন এক প্রকার মূর্তিপূজা। পাথরের মূর্তির নিকট কেউ প্রার্থনা করে না, ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করে, সেই কারণেই সকল মন্ত্রের প্রারম্ভে প্রথমে 'ওঁ' উচ্চারণ করতে হয়। 'ওঁ' শব্দের অর্থ "ঈশ্বর সকলের চেয়ে মহৎ"।

পূজার পরে হিন্দুরা মূর্তি বিসর্জন দেন। তাতে প্রমাণ হয়, মূর্তির কোনো গুরুত্বই নেই। মূর্তির মাধ্যমে  ঈশ্বরের প্রতিমার ওপর মনোসংযোগ করাই মূর্তির একমাত্র উপযোগিতা। মূর্তিপূজা উৎসবের আনন্দ উপভোগ, জনসমাগম ও জনসংযোগের উপায়।

হিন্দুধর্ম যখন সারা পৃথিবীতে বিস্তৃত হল, বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন উপজাতির পূজিত অনেক দেবতার মূর্তি হিন্দুধর্মের মূল উৎসব স্রোতের সঙ্গে মিশে গেল। তার ফলে অনেক মূর্তির পূজা হতে আরম্ভ করল। অবশ্য এই মূর্তিগুলোর প্রভাব বিশেষ বিশেষ অঞ্চলে সীমাবদ্ধ।

উত্তর ভারতের হিন্দুরা মূর্তিকে বলেন দেবতা, ভগবানকে বলেন ঈশ্বর। আদি দেবতা ছিলেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর। মহেশ্বরের পুত্র পূজিত হন কার্তিকের নামে। অপরপক্ষে ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে তাঁদের পূজা হয় যথাক্রমে মূর্তি / বিগ্রহম / ঈশ্বর / ঈশ্বরাড় / ভগবান বেঙ্কটশ্বর / ভগবান বালাজী (বিষ্ণুঁ), মুরুগণ / সন্মুখ / কুমার স্বামী (কার্তিকেয়) রূপে।

তবে হিন্দুরা সকলেই এক। তাঁরা সকলেই এক ও অদ্বিতীয়, সর্বব্যাপী সর্বশক্তিমান ঈশ্বর অর্থাৎ পরম ব্রহ্মে বিশ্বাস করেন এবং বিশ্বাস করেন যে ঈশ্বরই সকল কারণের কারণ।

অস্ত্রের ব্যবহারে অথবা জ্ঞানের ক্ষেত্রে অতি মানবিক ক্ষমতার অতিরঞ্জিত বিবরণ দিয়ে কাহিনীকারগণ দেবতাদের সম্পর্কে নানা অলীক কল্পকথার সৃষ্টি করেছেন। অত্যুৎসাহী শিল্পী ও ভাস্করগণ তাঁদের বল্গাহীন কল্পনা অনুযায়ী দেবতাদের মূর্তির অতিপ্রাকৃত অদ্ভুত রূপদান করেছেন। দেবতারা সকলেই মনুষ্য ছিলেন, প্রাকৃতিক নিয়মের ঊর্ধ্ব কেউই ছিলেন না। প্রত্যেকেরই একটি করে মস্তক ও দুটি করে হস্ত ছিল।

হিন্দুমন্ত্রে তাঁর এই রূপ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে :

ওঁ ত্রিমস্তকানাং জ্ঞানম্ একশিরে অবিস্থিতং
চতুর্বান্থতুল্যবলং দ্বিহস্তে রোপিতম্।
ভক্তেচ্ছাপূরণার্থং পুনঃ পুনঃ আবির্ভতম্
প্রণমামি তং হি ঈশ্বরপ্রেরিতদূতম্।

হে ঈশ্বর, তুমি পুনঃপুন মানুষ্যরূপী দেবতাদের প্রেরণ করেছ।  দেবতারা অতিশয় জ্ঞানী এবং তাঁদের একটি মস্তকে তিনটি মস্তকের শক্তি। তাঁদের দুটি হাত এত শক্তিশালী যে মনে হয় চারটি হাত কর্মরত। আমরা সকলে ঈশ্বরের দূতদিগকে প্রণাম করি।

গত ২০,০০০ বৎসরে হিন্দুরা পেয়েছেন অনেক দেবতা/দেবদূত এবং তাঁদের গ্রহণ করেছেন আদি দেবতা ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বরের অবতার রূপে। দৃষ্টান্ত স্বরূপ - 'রাম', যাঁর জন্ম হয়েছিল ৬,৫০০ বৎসর আগে এবং 'কৃষ্ণ', যাঁর জন্ম হয়েছিল ৫,০০০ বৎসর আগে, তাঁরা উভয়েই বিষ্ণুর অবতার হিসেবে পূজা, প্রেম ও শ্রদ্ধার পাত্র। হিন্দু ঈশ্বরপ্রেমী, সবর্দা ঈশ্বরের সান্নিধ্য আকাঙ্খা করেন। সেই সব সাধারণ হিন্দু যাঁরা বেদ এবং গীতা পাঠ করেন নি, তাঁরা মূর্তি পূজা করেন য়াঁরা বেদ ও গীতার জ্ঞানসম্পন্ন, তাঁরা জানেন ঈশ্বরই একমাত্র ভগবান। মানুষ যা কিছু তাঁকে দিতে পারে, ঈশ্বর তার সবই পাওয়ার অধিকারী। মূর্তি শুধুমাত্র তাঁর প্রতীক। একমাত্র ঈশ্বরের উপাসনাই প্রকৃত ফলপ্রদায়ী।

মন্তব্যসমূহ

Amalendra Saha বলেছেন…
মপ বেদের কোথায় " ঈশ্বর তস্য দূতরুপেন প্রিথিব্যাং প্রেরয়তি ......। " লিখা আছে সূত্র দিন দয়া করে ।
সারওয়ার বলেছেন…
হিন্দুদের ধর্ম গ্রন্থে মহানবী

মুহাম্মদ (স) এর আগমনী বার্তা

রয়েছে। অধিকাংশ হিন্দুরা

নিজেদের ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে

জানেন না। এমনকি হিন্দুদের

পুরোহিত ও ধর্মের গুরুরা হিন্দু

ধর্মীয় গ্রন্থ পড়তে সাধারণ

হিন্দুদের অনুপ্রাণিত করেনা।ফলে

নিজেদের শাস্ত্রের বিধান

বেশিরভাগ হিন্দুর কাছেই

অজানা। বেদ ও পুরাণে মুহাম্মদ

(স) কে সত্য পথপ্রদর্শক বলা

হয়েছে। নিজের চোখেই দেখুন....

(অথর্ব বেদ ২১অনুচ্ছেদ, ৬নং মন্ত্র,

৭নং মন্ত্র, ঋগ বেদ ৫০ নং

অনুচ্ছেদ ৯নং মন্ত্র, উত্তরচিকার

১৫০০ নং মন্ত্র, ঋগবেদ ১৩ নং

অনুচ্ছেদ ৩ নং মন্ত্র, যজুর্বেদ ২০

নং অ: এর ৩৭ ও ৫৭ নং অনুচ্ছেদ,

যজুর্বেদ ২১ অ: এর ৩১ ও ৫৫ নং

অনুচ্ছেদ, যজুর্বেদ ২৮ অ: এর ২,১৯ ও

৪২ নং অনুচ্ছেদ, ভগবৎ পুরাণ ১২নং

খ: এর ২নং অ: এর ১৮ থেকে ২০ নং

শ্লোক, কল্কিপুরাণ ১১ থেকে ১৫

নং মন্ত্র ইত্যাদি)।



##দেখুন ইসলাম গ্রহনের জন্য

আদেশঃ কল্কি অবতারের ২৩

পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, "লা ইলাহা

হরতি পাপম্ ইলইলাহা পরম পাদম্ ,

জন্ম বৈকুন্ঠ অপ ইনুতি ত জপি নাম

মুহাম্মদ" অর্থঃ আল্লাহ এর আশ্রয়

ব্যতিত পাপ মুক্তির কোন উপায়

নেই । আল্লাহর আশ্রয় প্রকৃত আশ্রয়

। স্বর্গ পাওয়া . প্রভুর পরিচয় লাভ

এবং ক্ষমা পেতে হলে মুহাম্মদ

সাঃ কেই মানতে হবে । বৈকুন্ঠে

জন্মলাভের আশা করলে তার

আশ্রয় ব্যতিত অন্য কোন উপায়

নেই । এজন্য মুহাম্মদ সাঃ এর

প্রদর্শিত পথে অনুসন্ধান

অপরিহার্য । (মোটকথা ইসলামে

দিক্ষিত হতে হবে । )



##এবার

দেখুন হিন্দু শাস্ত্রে আল্লাহ ,

মুহাম্মদ , রসূল শব্দ যোগে শ্লোক ।

"হোতার মিন্দ্রো হোতার মিন্দ্রো

মহাসুরিন্দ্রবোঃ , অল্লো,

জ্যেষ্টং , পরমং , পূর্ণং , ব্রক্ষণং

অল্লাম । অল্লো রসূল মুহাম্মদ রকং

বরস্য অল্লো- অল্লাম । আদাল্লং

বুক মেকং অল্লা বুকংল্লান

লিখাতকম ।" অর্থঃ অল্লোপণিষদ

দেবতাদের রাজা আল্লাহ আদি ও

সকলের বড় ইন্দ্রের গুরু । আল্লাহ

পূর্ণ ব্রহ্ম , মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল ।

পরম বরণীয় আল্লাহই । তাঁর

অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ আর কেউ নেই ।

আল্লাহ অক্ষয় , অব্যয় , স্বয়ম্ভু ।



##এছাড়া

আরো তথ্য আছে যা সত্য

সন্ধানীদেরকে ইসলাম গ্রহনের

জন্য আহ্বান করে । পরিতাপের

বিষয় হল , হিন্দু সম্প্রদায়ের

ধর্মগুরুরা এগুলো সতর্কতার সাথে

লুকিয়ে রাখেন ।
সমীরণ বলেছেন…
বেদে অনুচ্ছেদ বলে কিছু নেই। এতে দশটি মন্ডল আছে তাতে আছে অনেকগুলি সুক্ত। আল্লা বাঁ মহাম্মদ বলে কিছুই বেদে নেই। আল্লাপোনিষদ আকবরের আমলে দীন এ এলাহী ধর্ম সৃষ্টির জন্য লেখা হয়, এতে আকবরকে আল্লার দূত হিসেবে দাবী করা হয়। এটা হিন্দু পন্ডিতদের দিয়ে আকবর লিখিয়েছিলেন।
সমীরণ বলেছেন…
সারোয়ার নামে একজন জাকির নায়েকের মতই হাস্যকর কিছু কথা বলেছিলেন। আসলে অনুচ্ছেদ বলে কিছু নেই। এতে দশটি মন্ডল আছে তাতে আছে অনেকগুলি সুক্ত। আল্লা বাঁ মহাম্মদ বলে কিছুই বেদে নেই। আল্লাপোনিষদ আকবরের আমলে দীন এ এলাহী ধর্ম সৃষ্টির জন্য লেখা হয়, এতে আকবরকে আল্লার দূত হিসেবে দাবী করা হয়। এটা হিন্দু পন্ডিতদের দিয়ে আকবর লিখিয়েছিলেন।

Unknown বলেছেন…
ঈশ্বর মানুষকে তাঁর পরিচয় দেওয়ার জন্য দূত প্ররন করেছেন। পরবর্তীতে সেই দূত গুলোকে পূজা করা হচ্ছে। এর চেয়ে নিকৃষ্ট কী আছে। প্রথমেই বলছেন ঈশ্বর সর্ব শক্তিমান। আবার সেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর কে মূর্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ করছেন। ছিঃ। এটাই কী দেবদূতদের শিক্ষা?? কই,, আপনদের ধর্ম গ্রন্থে তো এর কিছুই লিখা নেই। এগুলো মানুষের বানানো নোংরামি। এাটই শিরক! এর পরিণতি জাহান্নাম
Unknown বলেছেন…
আলকুরআনের ১১২নং সূরাতে আল্লার পরিচয় সম্পর্কে বলা আছে,,হে রাসূল বলুন আল্লাহ এক ও অদিতীয় তার কোনো শরিক নেই,,,তিনি মখাফেখী নন,,,,তিনি কাওকে জন্ম দেননি এবং তাকেও কেউ জন্ম দেয়নি,,, এবং তার সমতুল্য কেউ নেই,,,,তাহলে হিন্দুরা কেনো এতো খোদার পূজা করে,,,তারা একটা পাগোল তা নাহলে নিজের বাবা মায়ের কথা ধরে হাতে বানানো খোদাকে কি কেও সেবা করে,,, ওনি আপনাদের কেমন খোদা যাকে তার বান্দারা তৈরি করে আবার অসম্মান করে ফেলে দেয়,,এখনো সময় আছে জান্নাত চাইলে ইসলামের চায়াতলে আসো,,এখানে কোনো খোদাকে উপার্জন করে খাওয়ান লাগেনা৷ এখানে আল্লাহ নিজেই বান্দাকে খাওয়ান,,

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বিষ্ণু দশ অবতারের পরিচয়

বেদের চনৎকার কিছু শ্লোক।

হিন্দুদের দৈনিক প্রার্থনার মন্ত্র