গায়ত্রী মন্ত্র ও পাঠের নিয়ম

গায়ত্রী পাঠ : 
সবিতার উদেশ্যে বিশ্বামিত্র ঋষি কর্তৃক একটি ঋক ( মন্ত্র ) দৃষ্ট হয়েছিল । এ মন্ত্র এত প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল যে , হাজার হাজার বছর ধরে প্রত্যহ ত্রিসন্ধ্যা সহস্র কণ্ঠে উচ্চারিত হয়ে আসছে । এই ঋকটির নাম সাবিত্রী । গায়ত্রী ছন্দে রচিত বলে “ গায়ত্রী ” নামে প্রসিদ্ধ । তবে এ মন্ত্র গাইতে গাইতে সংসার যাতনা হতে পরিত্রাণ পাওয়া যায় বলে এর নাম গায়ত্রী রাখা হয়েছে । সকল মন্ত্রের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলে একে “ বেদমাতা " ও বলা হয় । গায়ত্রীটি হচ্ছে- 
ওঁ ভুঃ ভূবঃ স্বঃ তৎ সবিতুর্বরেণং 
ভর্গো দেবস্য ধীমহি 
ধিয়াে যাে নঃ প্রচোদয়াৎ ওঁ । 

অর্থ : ত্রিভুবনে ব্রহ্মা , বিষ্ণু ও মহেশ্বরীরূপে বিদ্যমান সেই সৃষ্টি কর্তার বরণীয় তেজকে ধ্যান করি । এই তেজ ( স্বরূপশক্তি ) মায়াশক্তিকে পরাভূত করতে পারে । এ সবিতা আমার বুদ্ধিকে পরিচালিত করেন ।

গায়ত্রী পাঠের নিয়ম : প্রতিদিন সকাল , দুপুর ও সন্ধ্যায় হাত , পা ও মুখ ধুয়ে পূর্বমুখী বা উত্তরমুখী হয়ে এক মনে গায়ত্রী পাঠ করতে হয় । ১০৮ বার পাঠ করতে হয় । কমপক্ষে দশবার । সকালে গায়ত্রী পাঠের পূর্বে জল গ্রহণও করতে নেই । 

গায়ত্রী পাঠের ফল : গায়ত্রী পাঠ করলে মন , প্রাণ উদার ও সুন্দর হয় । আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে , বিশ্বের সব কিছু ঈশ্বরের ভিন্ন ভিন্ন রূপ । গায়ত্রী পাঠে সকলের মধ্যে একই ঈশ্বর বিদ্যমান , তিনি আমাদের বুদ্ধিমাতা , তার শরণ নিলে তিনি মায়া থেকে মুক্ত করেন - এ জ্ঞান লাভ হয় । 
ওঁ শান্তি ! ওঁ শান্তি ! ! ওঁ শান্তি ! ! !

মন্তব্যসমূহ

Unknown বলেছেন…
শহরের বাসায় ঘরের ভিতরে সূর্য্যদেবকে কিভাবে অর্ঘ্যদান করবো?
Unknown বলেছেন…
গায়ত্রী মন্ত্রের বাংলায় অর্থ জানতে চাই।
- অভিজিৎ ভট্টাচার্য
ধর্মনগর, ত্রিপুরা।
ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।অর্থাৎ ইচ্ছা যদি থাকে তাহলে যেকোন স্থানে যেকোন জাগায় আমরা ভগবানকে স্বরণ করতে পারি।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বিষ্ণু দশ অবতারের পরিচয়

বেদের চনৎকার কিছু শ্লোক।

হিন্দুদের দৈনিক প্রার্থনার মন্ত্র