চতুর্থ মণ্ডল: সুক্ত - ৩৮
অনুবাদ
১। হে মরুৎগণ! তোমরা স্তুতিপ্রিয় এবং তোমাদের জন্য কুশ ছিন্ন হয়েছে। পিতা পুত্রকে যেরূপ দুটি হস্ত দ্বারা ধারণ করে, আমাদের সেরূপ ধারণ করবে?
২। তোমরা এখন কোথায়? কখন তোমরা আগমন করবে? আকাশ হতে এস, পৃথিবী হতে যেও না; যজমানের গাভীসমূহের ন্যায় তোমাকে কোথায় ডাকছে?
৩। তোমাদের নুতন ধন কোথায়? তোমাদের শোভনীয় দ্রব্য কোথায়? তোমাদের সমস্ত সৌভাগ্য কোথায়?
৪। হে পৃশ্নি পুত্রগণ! যদি তোমরা মনুষ্য হতে তোমাদের স্তোতা অমর হত।
৫। তৃণের মধ্যে মৃগ যেরূপ সেবা রহিত হয় না, তোমার স্তোতাও সেরূপ তোমার সেবা রহিত হত না, কদাচ যমের পথে যেত না।
৬। নি:ঋতি (১) অতিশয় বলবতী এবং তাকে বিনাশ করা যায় না। যেন সে নি: ঋতি আমাদের না বধ করে; যেন সে আমাদের তৃষ্ণার সাথে বিলুপ্ত হয়।
৭। দীপ্তিমান ও বলবান রুদ্রীয়গণ সত্যই (২) মরুভূমিতেও বায়ুরহিত বৃষ্টি দান করেন।
৮। প্রস্রূত স্তনবতী ধেনুর ন্যায় বিদ্যুৎ গর্জন করছে; গাভী যেরূপ বৎসের সেবা করে, বিদ্যুৎ সেরূপ মরুৎগণের সেবা করছে, সুতরাং মরুৎগণ বৃষ্টি দান করলেন।
৯। মরুৎগণ উদকধারী পর্জন্য (৩) দ্বারা দিবাকালেও অন্ধকার করছেন, পৃথিবী জলসিক্ত করছেন।
১০। মরুৎ গণের গর্জনে সমস্ত পৃথিবীর গৃহাদি সমস্তাৎ কম্পিত হয়, মনুষ্যগণ কম্পিত হয়।
১১। হে মরুৎগণ! দৃঢ় পদ অশ্ব দ্বারা বিচিত্র তটযুক্ত নদীর তীর দিয়ে অপ্রতিহত গতিতে গমন কর।
১২। তোমার রথের নেমি সমুদয় দৃঢ় হোক, রথ অশ্বগণও দৃঢ় হোক, তোমাদের বলগা দৃঢ় হোক।
১৩। ব্রন্ধণস্পতি (৪) ও অগ্নি এবং দর্শনীয় মিত্রের স্তুতির জন্য দেবতাস্বরূপ প্রকাশকারী বাক্য দ্বারা আমাদের সম্মুখে তাদের বর্ণন কর।
১৪। মুখে শ্লোক রচনা কর, পর্জন্যের ন্যায় তা বিস্তার কর; উকথস্তুতি বিশিষ্ট গায়ত্রীচ্ছন্দে রচিত (সুক্ত) পাঠ কর।
১৫। দীপ্তিমান স্তুতিযোগ্য এবং অর্চনোপেত রুৎগণকে বন্দনা কর; আমাদের এ কার্যে যেন তারা বর্ধনশীল হন।
টীকা
১। অর্থাৎ পাপ। ২৪ সুক্তের ৯ ঋকের টীকা দেখুন।
২। রুদ্র সম্বন্ধে ৪৩ সুক্তের ১ ঋকের টীকা দেখুন।
৩। পর্জন্য অর্থে মেঘ। সায়ণ। এরপর ৮৩ ও অন্যান্য সুক্তে পর্জন্যকে দেব বলে স্তুতি করা হয়েছে।
৪। ব্রহ্মণস্পতি সম্বন্ধে ১৮ সুক্তের ১ ঋকের টীকা দেখুন।
১। হে মরুৎগণ! তোমরা স্তুতিপ্রিয় এবং তোমাদের জন্য কুশ ছিন্ন হয়েছে। পিতা পুত্রকে যেরূপ দুটি হস্ত দ্বারা ধারণ করে, আমাদের সেরূপ ধারণ করবে?
২। তোমরা এখন কোথায়? কখন তোমরা আগমন করবে? আকাশ হতে এস, পৃথিবী হতে যেও না; যজমানের গাভীসমূহের ন্যায় তোমাকে কোথায় ডাকছে?
৩। তোমাদের নুতন ধন কোথায়? তোমাদের শোভনীয় দ্রব্য কোথায়? তোমাদের সমস্ত সৌভাগ্য কোথায়?
৪। হে পৃশ্নি পুত্রগণ! যদি তোমরা মনুষ্য হতে তোমাদের স্তোতা অমর হত।
৫। তৃণের মধ্যে মৃগ যেরূপ সেবা রহিত হয় না, তোমার স্তোতাও সেরূপ তোমার সেবা রহিত হত না, কদাচ যমের পথে যেত না।
৬। নি:ঋতি (১) অতিশয় বলবতী এবং তাকে বিনাশ করা যায় না। যেন সে নি: ঋতি আমাদের না বধ করে; যেন সে আমাদের তৃষ্ণার সাথে বিলুপ্ত হয়।
৭। দীপ্তিমান ও বলবান রুদ্রীয়গণ সত্যই (২) মরুভূমিতেও বায়ুরহিত বৃষ্টি দান করেন।
৮। প্রস্রূত স্তনবতী ধেনুর ন্যায় বিদ্যুৎ গর্জন করছে; গাভী যেরূপ বৎসের সেবা করে, বিদ্যুৎ সেরূপ মরুৎগণের সেবা করছে, সুতরাং মরুৎগণ বৃষ্টি দান করলেন।
৯। মরুৎগণ উদকধারী পর্জন্য (৩) দ্বারা দিবাকালেও অন্ধকার করছেন, পৃথিবী জলসিক্ত করছেন।
১০। মরুৎ গণের গর্জনে সমস্ত পৃথিবীর গৃহাদি সমস্তাৎ কম্পিত হয়, মনুষ্যগণ কম্পিত হয়।
১১। হে মরুৎগণ! দৃঢ় পদ অশ্ব দ্বারা বিচিত্র তটযুক্ত নদীর তীর দিয়ে অপ্রতিহত গতিতে গমন কর।
১২। তোমার রথের নেমি সমুদয় দৃঢ় হোক, রথ অশ্বগণও দৃঢ় হোক, তোমাদের বলগা দৃঢ় হোক।
১৩। ব্রন্ধণস্পতি (৪) ও অগ্নি এবং দর্শনীয় মিত্রের স্তুতির জন্য দেবতাস্বরূপ প্রকাশকারী বাক্য দ্বারা আমাদের সম্মুখে তাদের বর্ণন কর।
১৪। মুখে শ্লোক রচনা কর, পর্জন্যের ন্যায় তা বিস্তার কর; উকথস্তুতি বিশিষ্ট গায়ত্রীচ্ছন্দে রচিত (সুক্ত) পাঠ কর।
১৫। দীপ্তিমান স্তুতিযোগ্য এবং অর্চনোপেত রুৎগণকে বন্দনা কর; আমাদের এ কার্যে যেন তারা বর্ধনশীল হন।
টীকা
১। অর্থাৎ পাপ। ২৪ সুক্তের ৯ ঋকের টীকা দেখুন।
২। রুদ্র সম্বন্ধে ৪৩ সুক্তের ১ ঋকের টীকা দেখুন।
৩। পর্জন্য অর্থে মেঘ। সায়ণ। এরপর ৮৩ ও অন্যান্য সুক্তে পর্জন্যকে দেব বলে স্তুতি করা হয়েছে।
৪। ব্রহ্মণস্পতি সম্বন্ধে ১৮ সুক্তের ১ ঋকের টীকা দেখুন।
মন্তব্যসমূহ