পঞ্চম মণ্ডল: সুক্ত - ৫১
অনুবাদ
১। যাঁকে অনেতে আহ্বান করে, যিনি স্তুতিভাজন এবং ধনের অর্ণব সে মেষ (১) ইন্দ্রকে স্তুতি দ্বারা হৃষ্ট কর। যার কর্ম সূর্য রশ্মির ন্যায় মানষদের হিতসাধন করে সে ক্ষমতাপন্ন ও মেধাবী ইন্দ্রকে ধন সম্ভোগার্থ অর্চনা কর।
১। ইন্দ্রের আগমন শোভাবিশিষ্ট তিনি অন্তরীক্ষ পূরণ করেন; তিনি বলসম্পন্ন দর্পস্থারী ও শতক্রতু। ঋভুগণ রক্ষণে ও বর্ধনে তৎপর হয়ে তার সম্মুখে এসে সহায়তা করেছিলেন এবং উৎসাহ বাক্যদ্বারা প্রোৎসাহ করেছিলেন (২) ।
৩। তুমি অঙ্গিরাঋষিদের জন্য মেঘ খুলে দিয়েছ; শতদবার যন্ত্রে প্রক্ষিপ্ত অত্রিকে তুমিই পণ দেখিয়েছিলে; তুমি বিমদ ঋষিকে অন্নযুক্ত ধন দিয়েছিলে (৩) এবং যুদ্ধে বর্তমান স্তোতার জন্য তুমি আপন বজ্র চালন করে তাকে রক্ষা কছিলে।
৪। তুমি জলধারী মেঘ খুলে দিয়েছ, তুমি পর্বতে বৃত্রাদি দানবদের ধন অপহরণ করে রেখেছ। হে ইন্দ্র! তুমি হত্যাকারী বৃত্রকে বধ করেছিলে এবং তারপর সূর্যকে লোকের দর্শনার্থ আকাশে আরোহণ করিয়ে দিয়েছিলে।
৫। যারা যজ্ঞ অন্ন আপনাদের মুখে স্থাপন করেছিল (৪) হে ইন্দ্র ! সে মায়াবীদের তুমি মায়া দ্বারা পরাস্ত করেছিলে। তুমি মানুষের প্রতি প্রসন্নমনা; তুমি পিপ্রু নগর ধ্বংস করেছিলে এবং ঋজিশ্বান নামক (৫) স্তোতাকে দস্যুদের হস্তে হত্যা হতে সম্যকরূপে রক্ষা করেছিলে।
৬। তুমি শুষ্ণ (অসুরের) সাথে যুদ্ধে কুৎস ঋষিকে রক্ষা করেছিলে, তুমি অতিথিদের রক্ষার্থ শম্বরকে হনন করেছিলে। তুমি মহান অর্বুদকে পদ দ্বারা আক্রমণ করেছিলে; (৬) অতএব তুমি দস্যু হত্যার জন্যই জন্মগ্রহণ করেছ।
৭। তোমাতে সমস্ত বল নি:সংশয়রূপে নিহিত আছে। তোমার মন সোমপানে হৃষ্ট হয়। তোমার হস্তদ্বয়ে বজ্র আছে তা আমরা জানি, অতএব শত্রুর সমস্ত বীর্য ছেদন কর।
৮। হে ইন্দ্র! কারা আর্য এবং কারা দস্যু তা অবগত হও। কুশযুক্ত যজ্ঞের বিরোধীদের শাসন করে বশীভূত কর (৭)। তুমি শক্তিমান, অতএব যজ্ঞ সম্পাদকদের সহায় হও। আমি তোমার হর্য জনক যজ্ঞে তোমার সেই কর্ম প্রশংসা করতে ইচ্ছা করি।
৯। ইন্দ্র যজ্ঞবিমুখদের যজ্ঞপ্রিয় যজমানদের বশীভূত করে ও অভিমুখস্তোতাদের দ্বারা স্তুতি পরামুখদের ধ্বংস করে অবস্থিতি করেন। বম্র ঋষি বর্ধনশীল ও স্বর্গব্যাপী ইন্দ্রের স্তুতি করতে করতে সঞ্চিত যজ্ঞাদ্রব্যসমূহ নিয়ে গিয়েছিলেন (৮)।
১০। হে ইন্দ্র! যখন উশনার (৯) বলদ্বারা তোমার বল তীক্ষ্ম হয়েছিল তখন তোমার বল বিশুদ্ধ তীক্ষ্মতা দ্বারা দ্যু ও পৃথিবীকে ভীত করেছিল। হে ইন্দ্র! তোমার মন মানুষের প্রতি প্রসন্ন, তুমি এরূপ বলপূর্ণ হলে তোমার ইচ্ছামাত্রে সংযোজিত ও বায়ুর ন্যায় বেগবিশিষ্ট অশ্বগণ তোমাকে আমাদের যজ্ঞের অন্নের অভিমুখে নিয়ে আসুক।
১১। যখন ইন্দ্র কমনীয় উশনার সাথে স্তুত হন তখন তিনি বক্রগতি অশ্বদ্বয়ে অধিষ্ঠান করেন। উগ্র ইন্দ্র গমনশীল মেঘসমূহ হতে প্রবাহরূপে জল নির্গত করেছেন এবং শুষ্ণের বিস্তীর্ণ নগর সমূহ ধ্বংস করেছেন।
১২। হে ইন্দ্র! তুমি সোমপানর্থ রথে আরোহণ করে গমন কর। যে সোমে তুমি হৃষ্ট হও, শার্যাত (১০) সে সোম প্রস্তুত করেছেন; অতএব অন্য যজ্ঞে তুমি যেরূপ অভিযুত সোম কামনা কর, সেরূপ শার্যাতের সোমও কামনা কর তা হলে বদব্যলোকে অবিচল যশ প্রাপ্ত হবে।
১৩। হে ইন্দ্র! তুমি অভিযবকারী ও স্তুত্যাকাঙ্ক্ষী বৃদ্ধ কক্ষীবান (রাজ্যকে) যুবতী বৃচয়া নান্মী স্ত্রী প্রদান করেছিলে (১১)। হে শোভন কর্মা ইন্দ্র তুমি বৃষণশ্চ রাজার মেনা নাম্নী কন্যা হয়েছিলে (১২)। এ সকল বিষয় অভিষবণ কালে বর্ণনা করা কর্তব্য।
১৪। শোভনকর্মা লোকদের নির্ধনতায় (রক্ষা করবার জন্য) ইন্দ্রকে সেবা করা হয়েছে; প্রজাদের (১৩) স্তোত্র দ্বারস্থিত যুপের ন্যায় অচল। ধনদাতা ইন্দ্র (যজমানদের জন্য) অশ্ব ইচ্ছা করেন, গো ইচ্ছা করেন, রথ ইচ্ছা করেন এবং অন্য ধন ইচ্ছা করে অবস্থিতি করেন।
১৫। হে ইন্দ্র! তুমি বৃষ্টিদান কর, তুমি নিজ তেজে বিরাজ করছ, তুমি প্রকৃত বলসম্পন্ন ও অতিশয় মহৎ, আমরা তোমাকে এ স্তুতি বাক্য প্রয়োগ করছি, যেন আমরা এ সংগ্রামে সমস্ত বীরগণদ্বারা যুক্ত হয়ে তোমার দত্ত শোভনীয় দৃহে বিদ্বান পুত্রাদির সাথে বাস করি।
টীকা
১। মেঘং শত্রুভঃ স্পর্ধমানং। সায়ণ।
২। ঋভুদিগের সম্বন্ধে ২০ সুক্তের ১ ঋকের টীকা দেখুন। কিন্তু সায়ণের মতে এখানে ঋভূগণ অর্থ মরুৎগণ।
৩। বিমদ ঋষি সম্বন্ধে জ১১৬ সুক্তের ১ ঋকের টীকা দেখুন। অত্রি সম্বন্ধে ১১২ সুক্তের ৭ ঋকের টীকা দেখুন ও ১১৬ সুক্তের ৮ ঋক দেখুন। অঙ্গিরা ঋষি সম্বন্ধে ৩১ সুক্তের ১ ঋকের টীকা দেখুন।
৪। কৌশিতকী শাখাধ্যায়ীরা বলেন অসুরগণ অগ্নিকে অবহেলা করে আপন মুখে হব্য দিয়েছিল। বাজসনেয়ীরা বলেন দেবগণের সঙ্গে অসুরদের বিদ্বেষ হওয়ায় অসুরগণ বলল আমরা কাকেও হব্য দেব না এ বলে তারা আপন সুখে হব্য দান করল।
৫। ১১ সুক্তের ৭ ঋকের টীকা এবং ৫৩ সুক্তের ৮ ঋকের টীকা দেখুন।
৬। সায়ণ অতিথির অর্থ করেন অতিথিবৎসল দিবোদাস রাজা। ১১২ সুক্তের ১৪ ঋকের টীকা দেখুন। শম্বর ও শুষ্ণ ও অর্বুদ সম্বন্ধে ১১ সুক্তের ৭ ঋকের টীকা দেখুন। কুৎস সম্বন্ধে ৩৩ সুক্তের ১৪ ঋকের টীকা ও ৬৩ সুক্তের ৩ ঋকের টীকা ও ১০৬ সুক্তের ৬ ঋকের টীকা দেখুন।
৭। এ ঋকে আর্য ও দস্যু, উভয় শব্দই ব্যবহৃত হয়েছে। আর্যগণ দেবগণের যজ্ঞ করত, দস্যুগণ, ভারতবর্ষের আদিম অসত্য জাতিগণ যজ্ঞ করত না।
৮।১১২। সুক্তের ১৫ ঋকের টীকা দেখুন।
৯। উশনা বা শুক্রাচার্য পুরাণমতে অসুরদের দুত বা গুরু। তৈরত্তরীয় সংহিতায় আছে অগ্নিদে বানাং দুত আসীৎ উশনা কাব্যোহসুরাণাম। কিন্তু ঋগ্বেদে উশনা ইন্দ্রের হিতকারী, ইন্দ্রকে বজ্র দান করেছিলেন। ১২১ সুক্তের ১২ ঋক দেখুন।
১০।কৌশিতকীয় ইতিহাসে বলে, ভুগুবংশীয় চ্যবন ঋষি শর্ষাতি রাজর্ষির কন্যার পাণি গ্রহণ করেন। তদুপলক্ষে একটি যজ্ঞ হয় এবং তথায় ইন্দ্র ও অশ্বিদ্বয় উপস্থিত ছিলেন। চ্যবনঋষি অশ্বিদ্বয়ের গ্রহণীয় হব্য নিজে গ্রহণ করেছিলেন। তা দেখে ইন্দ্র ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন, তাকে ইন্দ্রকে বিনয় করে তাকে পুনরায় সোম দেওয়া হয়েছি।
১১। কক্ষীবান রাজার জন্ম সম্বন্ধে ১৮ সুক্তের ১ ঋকের টীকা দেখুন। সে রাজ্য অনেকবার রাজসুয় যজ্ঞ করেন এবং তার কৃত যজ্ঞে পরিতৃষ্ট হয়ে ইন্দ্র তাকে বুচয়া নান্মী তরুণী স্ত্রী প্রদান করেন। সায়ণ।
১২। সায়ণ ব্রাহ্মণ হতে এ গল্পটি উদ্ধৃত করেছেন। যথা, ইন্দ্র বৃযণশ্চ রাজার কন্যা মেনা হয়েছিলেন, পরে মেনাকে প্রাপ্তযৌবনা দেখে ইন্দ্র স্বয়ং তার সাথে সহবাস অভিলাষ করেছিলেন।পৌরাণিক মেনা হিমালয়ের পত্নী।
১৩। পজ্রা ইতি অঙ্গিরসাং আখ্যা। সায়ন।
পঞ্চম মণ্ডল- ঋগ্বেদ সংহিতা
১। যাঁকে অনেতে আহ্বান করে, যিনি স্তুতিভাজন এবং ধনের অর্ণব সে মেষ (১) ইন্দ্রকে স্তুতি দ্বারা হৃষ্ট কর। যার কর্ম সূর্য রশ্মির ন্যায় মানষদের হিতসাধন করে সে ক্ষমতাপন্ন ও মেধাবী ইন্দ্রকে ধন সম্ভোগার্থ অর্চনা কর।
১। ইন্দ্রের আগমন শোভাবিশিষ্ট তিনি অন্তরীক্ষ পূরণ করেন; তিনি বলসম্পন্ন দর্পস্থারী ও শতক্রতু। ঋভুগণ রক্ষণে ও বর্ধনে তৎপর হয়ে তার সম্মুখে এসে সহায়তা করেছিলেন এবং উৎসাহ বাক্যদ্বারা প্রোৎসাহ করেছিলেন (২) ।
৩। তুমি অঙ্গিরাঋষিদের জন্য মেঘ খুলে দিয়েছ; শতদবার যন্ত্রে প্রক্ষিপ্ত অত্রিকে তুমিই পণ দেখিয়েছিলে; তুমি বিমদ ঋষিকে অন্নযুক্ত ধন দিয়েছিলে (৩) এবং যুদ্ধে বর্তমান স্তোতার জন্য তুমি আপন বজ্র চালন করে তাকে রক্ষা কছিলে।
৪। তুমি জলধারী মেঘ খুলে দিয়েছ, তুমি পর্বতে বৃত্রাদি দানবদের ধন অপহরণ করে রেখেছ। হে ইন্দ্র! তুমি হত্যাকারী বৃত্রকে বধ করেছিলে এবং তারপর সূর্যকে লোকের দর্শনার্থ আকাশে আরোহণ করিয়ে দিয়েছিলে।
৫। যারা যজ্ঞ অন্ন আপনাদের মুখে স্থাপন করেছিল (৪) হে ইন্দ্র ! সে মায়াবীদের তুমি মায়া দ্বারা পরাস্ত করেছিলে। তুমি মানুষের প্রতি প্রসন্নমনা; তুমি পিপ্রু নগর ধ্বংস করেছিলে এবং ঋজিশ্বান নামক (৫) স্তোতাকে দস্যুদের হস্তে হত্যা হতে সম্যকরূপে রক্ষা করেছিলে।
৬। তুমি শুষ্ণ (অসুরের) সাথে যুদ্ধে কুৎস ঋষিকে রক্ষা করেছিলে, তুমি অতিথিদের রক্ষার্থ শম্বরকে হনন করেছিলে। তুমি মহান অর্বুদকে পদ দ্বারা আক্রমণ করেছিলে; (৬) অতএব তুমি দস্যু হত্যার জন্যই জন্মগ্রহণ করেছ।
৭। তোমাতে সমস্ত বল নি:সংশয়রূপে নিহিত আছে। তোমার মন সোমপানে হৃষ্ট হয়। তোমার হস্তদ্বয়ে বজ্র আছে তা আমরা জানি, অতএব শত্রুর সমস্ত বীর্য ছেদন কর।
৮। হে ইন্দ্র! কারা আর্য এবং কারা দস্যু তা অবগত হও। কুশযুক্ত যজ্ঞের বিরোধীদের শাসন করে বশীভূত কর (৭)। তুমি শক্তিমান, অতএব যজ্ঞ সম্পাদকদের সহায় হও। আমি তোমার হর্য জনক যজ্ঞে তোমার সেই কর্ম প্রশংসা করতে ইচ্ছা করি।
৯। ইন্দ্র যজ্ঞবিমুখদের যজ্ঞপ্রিয় যজমানদের বশীভূত করে ও অভিমুখস্তোতাদের দ্বারা স্তুতি পরামুখদের ধ্বংস করে অবস্থিতি করেন। বম্র ঋষি বর্ধনশীল ও স্বর্গব্যাপী ইন্দ্রের স্তুতি করতে করতে সঞ্চিত যজ্ঞাদ্রব্যসমূহ নিয়ে গিয়েছিলেন (৮)।
১০। হে ইন্দ্র! যখন উশনার (৯) বলদ্বারা তোমার বল তীক্ষ্ম হয়েছিল তখন তোমার বল বিশুদ্ধ তীক্ষ্মতা দ্বারা দ্যু ও পৃথিবীকে ভীত করেছিল। হে ইন্দ্র! তোমার মন মানুষের প্রতি প্রসন্ন, তুমি এরূপ বলপূর্ণ হলে তোমার ইচ্ছামাত্রে সংযোজিত ও বায়ুর ন্যায় বেগবিশিষ্ট অশ্বগণ তোমাকে আমাদের যজ্ঞের অন্নের অভিমুখে নিয়ে আসুক।
১১। যখন ইন্দ্র কমনীয় উশনার সাথে স্তুত হন তখন তিনি বক্রগতি অশ্বদ্বয়ে অধিষ্ঠান করেন। উগ্র ইন্দ্র গমনশীল মেঘসমূহ হতে প্রবাহরূপে জল নির্গত করেছেন এবং শুষ্ণের বিস্তীর্ণ নগর সমূহ ধ্বংস করেছেন।
১২। হে ইন্দ্র! তুমি সোমপানর্থ রথে আরোহণ করে গমন কর। যে সোমে তুমি হৃষ্ট হও, শার্যাত (১০) সে সোম প্রস্তুত করেছেন; অতএব অন্য যজ্ঞে তুমি যেরূপ অভিযুত সোম কামনা কর, সেরূপ শার্যাতের সোমও কামনা কর তা হলে বদব্যলোকে অবিচল যশ প্রাপ্ত হবে।
১৩। হে ইন্দ্র! তুমি অভিযবকারী ও স্তুত্যাকাঙ্ক্ষী বৃদ্ধ কক্ষীবান (রাজ্যকে) যুবতী বৃচয়া নান্মী স্ত্রী প্রদান করেছিলে (১১)। হে শোভন কর্মা ইন্দ্র তুমি বৃষণশ্চ রাজার মেনা নাম্নী কন্যা হয়েছিলে (১২)। এ সকল বিষয় অভিষবণ কালে বর্ণনা করা কর্তব্য।
১৪। শোভনকর্মা লোকদের নির্ধনতায় (রক্ষা করবার জন্য) ইন্দ্রকে সেবা করা হয়েছে; প্রজাদের (১৩) স্তোত্র দ্বারস্থিত যুপের ন্যায় অচল। ধনদাতা ইন্দ্র (যজমানদের জন্য) অশ্ব ইচ্ছা করেন, গো ইচ্ছা করেন, রথ ইচ্ছা করেন এবং অন্য ধন ইচ্ছা করে অবস্থিতি করেন।
১৫। হে ইন্দ্র! তুমি বৃষ্টিদান কর, তুমি নিজ তেজে বিরাজ করছ, তুমি প্রকৃত বলসম্পন্ন ও অতিশয় মহৎ, আমরা তোমাকে এ স্তুতি বাক্য প্রয়োগ করছি, যেন আমরা এ সংগ্রামে সমস্ত বীরগণদ্বারা যুক্ত হয়ে তোমার দত্ত শোভনীয় দৃহে বিদ্বান পুত্রাদির সাথে বাস করি।
টীকা
১। মেঘং শত্রুভঃ স্পর্ধমানং। সায়ণ।
২। ঋভুদিগের সম্বন্ধে ২০ সুক্তের ১ ঋকের টীকা দেখুন। কিন্তু সায়ণের মতে এখানে ঋভূগণ অর্থ মরুৎগণ।
৩। বিমদ ঋষি সম্বন্ধে জ১১৬ সুক্তের ১ ঋকের টীকা দেখুন। অত্রি সম্বন্ধে ১১২ সুক্তের ৭ ঋকের টীকা দেখুন ও ১১৬ সুক্তের ৮ ঋক দেখুন। অঙ্গিরা ঋষি সম্বন্ধে ৩১ সুক্তের ১ ঋকের টীকা দেখুন।
৪। কৌশিতকী শাখাধ্যায়ীরা বলেন অসুরগণ অগ্নিকে অবহেলা করে আপন মুখে হব্য দিয়েছিল। বাজসনেয়ীরা বলেন দেবগণের সঙ্গে অসুরদের বিদ্বেষ হওয়ায় অসুরগণ বলল আমরা কাকেও হব্য দেব না এ বলে তারা আপন সুখে হব্য দান করল।
৫। ১১ সুক্তের ৭ ঋকের টীকা এবং ৫৩ সুক্তের ৮ ঋকের টীকা দেখুন।
৬। সায়ণ অতিথির অর্থ করেন অতিথিবৎসল দিবোদাস রাজা। ১১২ সুক্তের ১৪ ঋকের টীকা দেখুন। শম্বর ও শুষ্ণ ও অর্বুদ সম্বন্ধে ১১ সুক্তের ৭ ঋকের টীকা দেখুন। কুৎস সম্বন্ধে ৩৩ সুক্তের ১৪ ঋকের টীকা ও ৬৩ সুক্তের ৩ ঋকের টীকা ও ১০৬ সুক্তের ৬ ঋকের টীকা দেখুন।
৭। এ ঋকে আর্য ও দস্যু, উভয় শব্দই ব্যবহৃত হয়েছে। আর্যগণ দেবগণের যজ্ঞ করত, দস্যুগণ, ভারতবর্ষের আদিম অসত্য জাতিগণ যজ্ঞ করত না।
৮।১১২। সুক্তের ১৫ ঋকের টীকা দেখুন।
৯। উশনা বা শুক্রাচার্য পুরাণমতে অসুরদের দুত বা গুরু। তৈরত্তরীয় সংহিতায় আছে অগ্নিদে বানাং দুত আসীৎ উশনা কাব্যোহসুরাণাম। কিন্তু ঋগ্বেদে উশনা ইন্দ্রের হিতকারী, ইন্দ্রকে বজ্র দান করেছিলেন। ১২১ সুক্তের ১২ ঋক দেখুন।
১০।কৌশিতকীয় ইতিহাসে বলে, ভুগুবংশীয় চ্যবন ঋষি শর্ষাতি রাজর্ষির কন্যার পাণি গ্রহণ করেন। তদুপলক্ষে একটি যজ্ঞ হয় এবং তথায় ইন্দ্র ও অশ্বিদ্বয় উপস্থিত ছিলেন। চ্যবনঋষি অশ্বিদ্বয়ের গ্রহণীয় হব্য নিজে গ্রহণ করেছিলেন। তা দেখে ইন্দ্র ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন, তাকে ইন্দ্রকে বিনয় করে তাকে পুনরায় সোম দেওয়া হয়েছি।
১১। কক্ষীবান রাজার জন্ম সম্বন্ধে ১৮ সুক্তের ১ ঋকের টীকা দেখুন। সে রাজ্য অনেকবার রাজসুয় যজ্ঞ করেন এবং তার কৃত যজ্ঞে পরিতৃষ্ট হয়ে ইন্দ্র তাকে বুচয়া নান্মী তরুণী স্ত্রী প্রদান করেন। সায়ণ।
১২। সায়ণ ব্রাহ্মণ হতে এ গল্পটি উদ্ধৃত করেছেন। যথা, ইন্দ্র বৃযণশ্চ রাজার কন্যা মেনা হয়েছিলেন, পরে মেনাকে প্রাপ্তযৌবনা দেখে ইন্দ্র স্বয়ং তার সাথে সহবাস অভিলাষ করেছিলেন।পৌরাণিক মেনা হিমালয়ের পত্নী।
১৩। পজ্রা ইতি অঙ্গিরসাং আখ্যা। সায়ন।
পঞ্চম মণ্ডল- ঋগ্বেদ সংহিতা
মন্তব্যসমূহ