চতুর্থ মণ্ডল: সুক্ত - ৪০

অনুবাদ
১। হে ব্রহ্মণস্পতি! উত্থান করঃ দেবতা কামনা করে আমরা তোমাকে যাচ্ঞা করছি। শোভনীয় দানযুক্ত মরুৎগণ নিকট দিয়ে গমন করুন, হে ইন্দ্র! তুমি সঙ্গে থেকে সোমরস সেবন কর।

২। হে বলপুত্র! (শত্রুদের মধ্যে) প্রক্ষিপ্ত ধনের জন্য মনুষ্য তোমাকে স্তুতি করে; হে মরুৎগণ! যে মনুষ্য তোমাদের স্তুতি করে, সে শোভনীয় অশ্বযুক্ত ও শোভনীয় বীর্যযুক্ত ধন লাভ করে।

৩। ব্রহ্মণস্পতি আমাদের নিকট আসুন, সুনৃতা দেবী (১) আসুন, দেবগণ শত্রুকে দূরে প্রেরণ করুন, আমাদের হিতকারী ও হবাযুক্ত যজ্ঞে নিয়ে যান।

৪। যে মনুষ্য ঋত্বিককে গ্রহণযোগ্য ধন দান করে সে ক্ষয় রহিত অন্নলাভ করে; তার জন্য আমরা ইলার নিকট যাচ্ঞা করব। ইলা সুবীরা, তিনি শত্রুকে হনন করেন, তাকে কেহ হনন করতে পারে না।

৫। ব্রহ্মণস্পতি নি:সন্দেহই পবিত্র মন্ত্র উচ্চারণ করেন (২)। সে মন্ত্রে ইন্দ্র, বরুণ, মিত্র ও অর্যমা দেবগণ অবস্থিতি করেন।

৬। হে দেবগণ সুখের উৎপত্তি হেতু এবং হিংসা দোষ রহিত সে মন্ত্র আমরা উচ্চারণ করি। হে নেতৃগণ! যদি তোমরা এ বাক্য কামনা কর তা হলে সকল কমনীয় বাক্য তোমাদের নিকট উপনীত হবে।

৭। যিনি দেবগণকে কামনা করেন, তার নিকট ব্রহ্মণস্পতি ভিন্নকে আসে? যিনি যজ্ঞের জন্য কুশ ছিন্ন করেন, তার নিকট ব্রহ্মণস্পতি ভিন্ন কে আসে? হব্যদাতা যজমান ঋত্বিকদের সাথে যজ্ঞ স্থানে প্রন্থান করেছেন, অন্ত:স্থিত বহু ধনোপেত গৃহে গমন করেছেন।

৮। ব্রহ্মণস্পতি আপন শরীরে বল সংগ্রহ করুন, রাজগনের সাথে তিনি শত্রু হনন করেন, ভয়ের সময় তিনি স্বস্থানে স্থির থাকেন। তিনি বজ্রধারী, মহা যুদ্ধে কিম্বা স্বল্প যুদ্ধে তাকে প্রোৎসাহ অথবা নিরুৎসাহ করে এরূপ কেউ নেই।

টীকা
১। সুনৃতা দেবী প্রিয়সত্যরূপাবাপ্দেবতা। সায়ণ।

২। ব্রহ্ম অর্থ প্রার্থনা বা মন্ত্র এবং ব্রহ্মণস্পতি প্রার্থনা স্বরূপ দেব, তা এ সুক্তে স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে। ১৮ সুক্তের ১ ঋকের টীকা দেখুন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বেদের চনৎকার কিছু শ্লোক।

বিষ্ণু দশ অবতারের পরিচয়

হিন্দুদের দৈনিক প্রার্থনার মন্ত্র