চতুর্থ মণ্ডল: সুক্ত - ৪১
অনুবাদ
১। প্রকৃষ্ট জ্ঞানযুক্ত বরুণ ও মিত্র ও অর্যমা (১) যাকে রক্ষা করেন, কেউ তার হিংসা করতে পারে না।
২। তারা যে লোককে নিজের হস্ত দ্বারা ধনপূর্ণ করেন ও হিংসক হতে রক্ষা করেন, সে লোক কারও দ্বারা হিংসিত না হয়ে বুদ্ধি প্রাপ্ত হয়।
৩। বরুণাদি রাজগণ সে লোকদের জন্য শত্রুদের দূর্গ বিনাশ করেন, শত্রুদেরও বিনাশ করেন; পরে সে লোকদের পাপ সমূহ অপনয়ন করেন।
৪। হে আদিত্যগণ! তোমাদের যজ্ঞে আসবার পথ সুখগম্য ও কন্টকরহিত; এ যজ্ঞে তোমাদের জন্য মন্দ খাদ্য প্রস্তুত হয়নি।
৫। হে নেতা আদিত্যগণ! যে যজ্ঞে তোমরা ঋজুপথ দিয়ে আস, সে যজ্ঞ তোমাদের উপভোগ্য হোক।
৬। হে আদিত্যগণ! সে (তোমাদের অনুগৃহীত) মানুষ কারও দ্বারা হিংসিত না হয়ে সমস্ত রমণীয় ধন সম্মুখেই প্রাপ্ত হয় এবং নিজের সদৃশ অপত্য প্রাপ্ত হয়।
৭। হে সখাগণ! মিত্র ও অর্যমা ও বরুণের মহত্বের অনুরূপ স্তোত্র কি প্রকারে সাধন করব?
৮। হে মিত্রাদিদেবগণ! দেবাকাঙ্ক্ষী যজমানকে যে হনন করে, এবং যে কটু বলে, তার বিরুদ্ধে আমি তোমাদরে নিকট অভিযোগ করি না; আমি ধন দ্বারা তোমাদের পরিতৃপ্ত করি।
৯। অক্ষক্রীড়ায় যে লোক চার কপর্দক হস্তে ধারণ করে, সে কপর্দক ক্ষেপণ পর্যন্ত যেরূপ তাকে অপর পক্ষ ভয় করে সেরূপ যজমান পরের নিন্দা করতে ভয় করে।
টীকা
১। মিত্র ও বরুণ সম্বন্ধে ২ সুক্তের ৭ ঋকের টীকা দেখুন। বরুণ ও মিত্রের সাথে অর্যমাকে অনেক স্থানে স্তুতি করা হয়। অর্যমাকে? ৯০ সুক্তের ১ ঋকের টীকায় সায়ণ বলেন অর্যমা অহোরাত্রবিভাগস্য কর্তা সূর্যঃ। অন্য এক স্থানে সায়ণ লিখেছেন যে মিত্র ও বরুণ দিন ও রাত। অর্যমা উভয়োর্ম ধ্যবত্তী দেবঃ। ১৪ সুক্তের ৩ ঋকের টীকা দেখুন।
১। প্রকৃষ্ট জ্ঞানযুক্ত বরুণ ও মিত্র ও অর্যমা (১) যাকে রক্ষা করেন, কেউ তার হিংসা করতে পারে না।
২। তারা যে লোককে নিজের হস্ত দ্বারা ধনপূর্ণ করেন ও হিংসক হতে রক্ষা করেন, সে লোক কারও দ্বারা হিংসিত না হয়ে বুদ্ধি প্রাপ্ত হয়।
৩। বরুণাদি রাজগণ সে লোকদের জন্য শত্রুদের দূর্গ বিনাশ করেন, শত্রুদেরও বিনাশ করেন; পরে সে লোকদের পাপ সমূহ অপনয়ন করেন।
৪। হে আদিত্যগণ! তোমাদের যজ্ঞে আসবার পথ সুখগম্য ও কন্টকরহিত; এ যজ্ঞে তোমাদের জন্য মন্দ খাদ্য প্রস্তুত হয়নি।
৫। হে নেতা আদিত্যগণ! যে যজ্ঞে তোমরা ঋজুপথ দিয়ে আস, সে যজ্ঞ তোমাদের উপভোগ্য হোক।
৬। হে আদিত্যগণ! সে (তোমাদের অনুগৃহীত) মানুষ কারও দ্বারা হিংসিত না হয়ে সমস্ত রমণীয় ধন সম্মুখেই প্রাপ্ত হয় এবং নিজের সদৃশ অপত্য প্রাপ্ত হয়।
৭। হে সখাগণ! মিত্র ও অর্যমা ও বরুণের মহত্বের অনুরূপ স্তোত্র কি প্রকারে সাধন করব?
৮। হে মিত্রাদিদেবগণ! দেবাকাঙ্ক্ষী যজমানকে যে হনন করে, এবং যে কটু বলে, তার বিরুদ্ধে আমি তোমাদরে নিকট অভিযোগ করি না; আমি ধন দ্বারা তোমাদের পরিতৃপ্ত করি।
৯। অক্ষক্রীড়ায় যে লোক চার কপর্দক হস্তে ধারণ করে, সে কপর্দক ক্ষেপণ পর্যন্ত যেরূপ তাকে অপর পক্ষ ভয় করে সেরূপ যজমান পরের নিন্দা করতে ভয় করে।
টীকা
১। মিত্র ও বরুণ সম্বন্ধে ২ সুক্তের ৭ ঋকের টীকা দেখুন। বরুণ ও মিত্রের সাথে অর্যমাকে অনেক স্থানে স্তুতি করা হয়। অর্যমাকে? ৯০ সুক্তের ১ ঋকের টীকায় সায়ণ বলেন অর্যমা অহোরাত্রবিভাগস্য কর্তা সূর্যঃ। অন্য এক স্থানে সায়ণ লিখেছেন যে মিত্র ও বরুণ দিন ও রাত। অর্যমা উভয়োর্ম ধ্যবত্তী দেবঃ। ১৪ সুক্তের ৩ ঋকের টীকা দেখুন।
মন্তব্যসমূহ