চতুর্থ মণ্ডল: সুক্ত - ৩৭
অনুবাদ
১। হে কবগোত্রোম্ভব ঋষিগণ, ক্রীড়াশীল ও শত্রুরহিত মরুৎ সমূহের উদ্দেশ্যে গাও; তারা রথে শোভা পাচ্ছেন।
২। তারা স্বকীয় দীপ্তিযুক্ত হয়ে এবং বিন্দুচিহ্নিত মৃগরূপ বাহনের সাথে ও যুদ্ধ গর্জন ও আয়ুধ ও নানারূপ অলঙ্কারের সাথে জন্ম গ্রহণ করেছেন।
৩। তদের হস্তস্থিত কশা যে শব্দ করছে তা শুনতে পাচ্ছি; সে কশা ষুদ্ধে বল বৃদ্ধি করে।
৪। যারা তোমাকে বল সমর্থন করেন, শত্রুবর্ষণ করেন, যারা দীপামান যশ:পূর্ণ ও বলবান, সেই মরুৎগণকে হবির উদ্দেশে স্তব কর।
৫। যে মরুৎগণ পৃশ্নিরূপ ধেনুর মধ্যে অবস্থিত, তাদের বিনাশরহিত, ক্রীড়াশীল ও প্রসহনশীল তেজ প্রশংসা কর; বৃষ্টি আস্বাদনে সে তেজ বৃদ্ধি পেয়েছে।
৬। দ্যুলোক ও ভুলোকের কম্পনকারী হে বীরগণ! তোমাদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ কে? তোমরা বৃক্ষাগ্রের ন্যায় চারদিক পরিচালিত কর।
৭। হে মরুৎগণ! তোমাদের উগ্র ও ভীষণ গতির ভয়ে মনুষ্যগণ অবনত হয়েছে, কেন না তোমাদের গতিতে বহু পর্বযুক্ত গিরিও চালিত হয়।
৮। তাদের গতিক্রমে পদার্থ সমূহ বিক্ষিপ্ত হতে লাগল; পৃথিবীও বৃদ্ধ ও জীর্ণ নরপতির ন্যায় ভয়ে কম্পিত হয়।
৯। তাদের জন্মস্থান আকাশ অবিচলিত; তাদের জননী স্বরূপ আকাশ হতে বলনির্গত হতে পারে; যেহেতু তাদের বল উভয় লোকের সর্বত্র বর্তমান আছে।
১০। তারা শব্দের উৎপাদক, তারা গমন কালে জল বিস্তার করেন এবং গাভীদের হম্বারবপূর্বক জানু পর্যন্ত সে জলে প্রেরণ করেন।
১১। যে মেঘ প্রসিদ্ধ, দীর্ঘ ও পৃথু এবং জল বর্ষণ করে না ও কারও দ্বারা হিংসনীয় নয়, তাকেও মরুৎগণ স্বকীয় গতি দ্বারা চালিত করেন।
১২। হে মরুৎগণ! যেহেতু তোমাদের বল আছে, মনুষ্যদের নত করেছ, মেঘদেরও নত করেছ।
১৩। যখন মরুৎগণ গমন করেন, তখনই মার্গে সর্বতোভাবে ধ্বনি করেন, তাদের ধ্বনি সকলেই শুনতে পায়।
১৪। বেগবান বাহন দ্বারা শীঘ্র এস কম্বেরা তোমাদের পরিচর্যা প্রস্তুত করেছ; তাদের প্রতি তৃপ্ত হও।
১৫। তোমাদের তৃপ্তির জন্য হব্য রয়েছে, আমরা সমস্ত পরমায়ু জীবিত থাকবার জন্য তোমাদের ভৃতা হয়ে আছি।
টীকা
১। হে কবগোত্রোম্ভব ঋষিগণ, ক্রীড়াশীল ও শত্রুরহিত মরুৎ সমূহের উদ্দেশ্যে গাও; তারা রথে শোভা পাচ্ছেন।
২। তারা স্বকীয় দীপ্তিযুক্ত হয়ে এবং বিন্দুচিহ্নিত মৃগরূপ বাহনের সাথে ও যুদ্ধ গর্জন ও আয়ুধ ও নানারূপ অলঙ্কারের সাথে জন্ম গ্রহণ করেছেন।
৩। তদের হস্তস্থিত কশা যে শব্দ করছে তা শুনতে পাচ্ছি; সে কশা ষুদ্ধে বল বৃদ্ধি করে।
৪। যারা তোমাকে বল সমর্থন করেন, শত্রুবর্ষণ করেন, যারা দীপামান যশ:পূর্ণ ও বলবান, সেই মরুৎগণকে হবির উদ্দেশে স্তব কর।
৫। যে মরুৎগণ পৃশ্নিরূপ ধেনুর মধ্যে অবস্থিত, তাদের বিনাশরহিত, ক্রীড়াশীল ও প্রসহনশীল তেজ প্রশংসা কর; বৃষ্টি আস্বাদনে সে তেজ বৃদ্ধি পেয়েছে।
৬। দ্যুলোক ও ভুলোকের কম্পনকারী হে বীরগণ! তোমাদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ কে? তোমরা বৃক্ষাগ্রের ন্যায় চারদিক পরিচালিত কর।
৭। হে মরুৎগণ! তোমাদের উগ্র ও ভীষণ গতির ভয়ে মনুষ্যগণ অবনত হয়েছে, কেন না তোমাদের গতিতে বহু পর্বযুক্ত গিরিও চালিত হয়।
৮। তাদের গতিক্রমে পদার্থ সমূহ বিক্ষিপ্ত হতে লাগল; পৃথিবীও বৃদ্ধ ও জীর্ণ নরপতির ন্যায় ভয়ে কম্পিত হয়।
৯। তাদের জন্মস্থান আকাশ অবিচলিত; তাদের জননী স্বরূপ আকাশ হতে বলনির্গত হতে পারে; যেহেতু তাদের বল উভয় লোকের সর্বত্র বর্তমান আছে।
১০। তারা শব্দের উৎপাদক, তারা গমন কালে জল বিস্তার করেন এবং গাভীদের হম্বারবপূর্বক জানু পর্যন্ত সে জলে প্রেরণ করেন।
১১। যে মেঘ প্রসিদ্ধ, দীর্ঘ ও পৃথু এবং জল বর্ষণ করে না ও কারও দ্বারা হিংসনীয় নয়, তাকেও মরুৎগণ স্বকীয় গতি দ্বারা চালিত করেন।
১২। হে মরুৎগণ! যেহেতু তোমাদের বল আছে, মনুষ্যদের নত করেছ, মেঘদেরও নত করেছ।
১৩। যখন মরুৎগণ গমন করেন, তখনই মার্গে সর্বতোভাবে ধ্বনি করেন, তাদের ধ্বনি সকলেই শুনতে পায়।
১৪। বেগবান বাহন দ্বারা শীঘ্র এস কম্বেরা তোমাদের পরিচর্যা প্রস্তুত করেছ; তাদের প্রতি তৃপ্ত হও।
১৫। তোমাদের তৃপ্তির জন্য হব্য রয়েছে, আমরা সমস্ত পরমায়ু জীবিত থাকবার জন্য তোমাদের ভৃতা হয়ে আছি।
টীকা
মন্তব্যসমূহ