পঞ্চম মণ্ডল: সুক্ত - ৫৫

অনুবাদ

১। ইন্দ্রের প্রভাব আকাশ অপেক্ষাও বিস্তীর্ণ হয়েছিল, পৃথিবীও মহত্ত্ব বিষয়ে ইন্দ্রের সমতুল্য হতে পারে নি। ভয়স্কর ও বলবান ইন্দ্র মানুষদের জন্য শত্রুকে দগ্ধ করেন; বৃষ যেরূপ শৃঙ্গ ঘর্ষণ করে, ইন্দ্র সেরূপ তীক্ষ্মতার জন্য বজ্র ঘর্ষণ করছেন।

২। অন্তরীক্ষব্যাপী ইন্দ্র সমুদ্রের ন্যায় স্বীয় বিস্তীর্ণ তা দ্বারা বহুব্যাপী জল সমুদয় গ্রহণ করেন। তিনি সোমপানার্থ বৃষের ন্যায় বেগে ধাবমান হন এবং সে যোদ্ধা পুরাকাল হতে আপন বীরত্বের প্রশংসা ইচ্ছা করেন।

৩। হে ইন্দ্র! তুমি নিজের সম্ভোগার্থ মেঘ বিভিন্ন করনি; তুমি মহৎ ধনপতিদের উপর আধপত্য কর। সে দেব ইন্দ্র নিজ বীর্য দ্বারা বিশেষরূপে পরিচিত হয়েছেন, সমস্ত দেবগণ উগ্র ইন্দ্রকে তার কর্মের জন্য সম্মুখে স্থান দিয়েছেন।

৪। সে ইন্দ্রই অরণ্যে স্তুতিকারী ঋষিদের দ্বারা স্তুত হন; তিনি লোকদের মধ্যে স্বীয় বীর্য প্রকটিত করে চারভাবে অবস্থিতি করেন। যখন হবাদাতা ধনবান যজমান ইন্দ্রদ্বারা রক্ষিত হয়ে স্তুতি বাক্য উচ্চারণ করে, তখন সে অভষ্টবর্ষী ন্দ্রি যজ্ঞে রত করেন।

৫। সে ুদ্ধে ইন্দ্র মনুষাদের জন্য সর্ববিশুদ্ধকারী বল দ্বারা মহৎ সংগ্রামসমূহে লিপ্ত হন। যখন তিনি হজননসাধন বজ্র ক্ষেপণ করেন, তখন দীপ্তিমান ইন্দ্রকে সকলে বলবান বলে শ্রদ্ধা করেন।

৬। শোভনকর্ম ইন্দ্র যশ কামনা করে, সুনির্মিত (অসুর) গৃহ সকল বলদ্বারা বিনাশ করে পৃথিবীর সমান বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়ে, জ্যোতিষ্কদের আবরণ রহিত করে, যজমানের উপকারার্থ বহনশীল বৃষ্টিজল দান করেন।

৭। হে সোমপায়ী ইন্দ্র! তোমার মন দানে রত হোক। হে স্তুতিপ্রিয় তোমার হরিনামক অশ্বদ্বয়কে আমাদরে যজ্ঞের অভিমুখী কর! হে ইন্দ্র! তোমার সারথিগণ অশ্বসংযমে অতিশয় পটু, এজন্য তোমার প্রতিকুলমনা শত্রুগণ আয়ুধ নিয়ে তোমাকে পরাজিত করতে পারে না।

৮। হে ইন্দ্র! তুমি হস্তদ্বয় অনন্ত ধন ধাণ কর, তুমি যশস্বী ও শরীরে অপরাজিত বল ধারণ কর। কূপ সমুদয় যেরূপ জলার্থী লোক দ্বারা বেষ্টিত থাকে, তোমার অঙ্গ সমুদয় বীরত্বের কর্মসমূহদ্বারা বেষ্টিত; তোমার শরীরে বহু কর্ম বিদ্যমান রয়েছে।

টীকা

পঞ্চম মণ্ডল- ঋগ্বেদ সংহিতা

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বেদের চনৎকার কিছু শ্লোক।

বিষ্ণু দশ অবতারের পরিচয়

হিন্দুদের দৈনিক প্রার্থনার মন্ত্র