পঞ্চম মণ্ডল: সুক্ত - ৪৬
অনুবাদ
১। প্রিয় ঊষা এর পূর্বে দেখা দেন নি, ঐ তিনি আকাশ হতে অন্ধকার দূর করছেন। হে অশ্বিদ্বয়! তোমাদের প্রভূত স্তুতি করি।
২। যে দর্শনীয় সমুদ্রপুত্র দেবদ্বয় মনের দ্বারা ধন দান করেন এবং আমরা যজ্ঞ সম্পাদন করলে নিবাসস্থান প্রদান করেন।
৩। হে অশ্বিদ্বয়! তেমাদের রথ যখন প্রশংসিত স্বর্গলোকে আশ্বগণ দ্বারা নীত হয়, তখন আমরা আমাদরে স্তুতি উচ্চারণ করি।
৪। হে নরদ্বয়! পুরণকারী, পালনকারী, যজ্ঞদর্শী ও জলশোষক সূর্য আমাদের হবা দ্বারা দেবগণকে পূরণ করেন।
৫। হে নাসত্যদ্বয়! আমাদরে প্রিয় স্তুতি গ্রহণ করে তোমাদের বৃদ্ধি পরিচালক যে তীব্য সোম আছে তা পান কর।
৬। হে অশ্বিদ্বয়! যে জ্যোতির্ময় অন্ন অন্ধকার বিনাশ করে আমাদরে তৃপিত দান করে, সে অন্ন আমাদরে প্রদান কর।
৭। হে অশ্বিদ্বয়! স্তুতি সমূহের পারে গমনার্থে নৌকারূপে এস, আমাদরে অভিমুখে তোমাদের রথ সংযোজিত কর।
৮। তোমাদের আকাশ অপেক্ষাও বিস্তীর্ণ যান সমুদ্রের ঘাটে রয়েছে, ভূমিতে রথ রয়েছে; সোমরস তোমাদের যজ্ঞ কর্মে মিশ্রিত হয়েছে।
৯। হে কবগণ! অশ্বিদ্বয়কে জিজ্ঞাসা কর, দিব্যলোক হতে সুর্যরশ্মি আসে, বৃষ্টির উৎপত্তি স্থানে অর্থাৎ অন্তরীক্ষে আমাদের নিবাস হেতু জ্যেতিঃ আবিভূত হয়; হে অশ্বিদ্বয়। তোমাদের রূপ এর মধ্যে কোন স্থানে রাখতে ইচ্ছা কর?
১০। সূর্যের প্রভা ঊষাকালের আলোক উৎপন্ন করেছিল, সূর্য উদিত হয়ে হিরণ্যের ন্যায় হয়েছিলেন, অগ্নি কৃষ্ণবর্ণ হয়ে আপন ঝজহ্বা দ্বারা প্রকাশ পেয়েছিলেন।
১১। রাত্রের পারে গমনার্থ সূর্যের সুন্দর পথ নির্মিত হয়েছিল, সূর্যের বিস্তুত দীপ্তি দৃষ্ট হয়েছিল।
১২। অশ্বিদ্বয় হর্ষ নিমিত্ত সোমপান করেন। স্তুতিকারক তাদের পুন:পুন: রক্ষণ কার্য বিভূষিত করেন।
১৩। হে সুখদাতা অশ্বিদ্বয়! তোমরা যেরূপ মনুতে নিবাস করেছিলে সেরূপ নিবাস করে সোমপান নিমিত্ত এবং স্তুতির জন্য আগমন কর।
১৪। হে অশ্বিদ্বয়! তোমরা চতুর্দিকবিচারী; তোমাদের শোভা অনুসরণ করে ঊষা আগমন করুন; রাতে সম্পাদিত যজ্ঞের হব্য তোমরা গ্রহণ কর।
১৫। হে অশ্বিদ্বয়! তোমরা উভয়ে পান কর, উভয়েই প্রশস্ত রক্ষণ কার্য দ্বারা আমাদের সুখ দান কর।
মন্তব্যসমূহ