তৃতীয় মণ্ডল: সুক্ত - ২৫
অনুবাদ
১। যেমন লোকে ভ্রম করে, সেরুপ আমরাও দিনে দিনে তোমার রত সাধনে ভ্রম করে থাকি।
২। হে বরুণ! অনাদর করে হননকারী হয়ে তুমি আমাদরে বধ কর না, ক্রুদ্ধ হয়ে আমাদের উপর ক্রোধ প্রকাশ কর না।
৩। হে বরুণ! রথস্বামী যেরূপ শ্রান্ত অশ্বকে (পরিতৃপ্ত করে), আমরা সুখের জন্য সেরূপ স্তুতিদ্বারা তোমার মন প্রসন্ন করি।
৪। পক্ষিগণ যেরূপ নিবাস স্থানের দিকে ধাবমান হয়, আমার ক্রোধরহিত চিন্তা সমূহ সেরূপ ধন প্রাপ্তির জন্য ধাবিত হচ্ছে।
৫। বরুণ বলবান, নেতা ও বহু লোককে দর্শন করেন, কবে আমরা সুখের জন্য তাকে (এ যজ্ঞে) আনতে পারব?
৬। যজ্ঞানুষ্ঠাতা হবাদাতার প্রতি প্রসন্ন হরে (মিত্র ও বরুণ) এ সাধারণ হব্য গ্রহণ করছেন, অগ্রাহ্য করেন না।
৭। যিনি অন্তরীক্ষগামী পক্ষীদের পথ জানেন, যিনি সমুদ্রে নেৌকা সমূহের পথ জানেন।
৮। যিনি ধৃতব্রত হয়ে স্ব স্ব ফলাৎপাদী দ্বাদশ মাস জানেন এবং যে ত্রয়োদশ মাস উৎপন্ন হয় (১) তাও জানেন।
৯। যিনি বিস্তীর্ণ, কমনীয় ও মহৎ বায়ুর পথ জানেন, উপরে যারা বাস করেন তাদেরও জানেন।
১০। ধৃতব্রত ও শোভনকর্মা বরুণ স্বর্গীয় সন্তুতিদের মদ্যে সাম্রাজ্যসিদ্ধির জন্য এসে উপবেশন করেছেন।
১১। জ্ঞানবান লোকে তার প্রসাদে সকল অদ্ভূত ঘটনা, যা সম্পাদিন হয়েছে বা হবে, সমস্তই দেখতে পান।
১২। সে শোভনকর্মা অদিতিপুত্র আমাদের সকল দিনই সুপথগামী করুন, আমাদের আয়ু বর্ধন করুন।
১৩। বরুণ সুবর্ণের পরিচ্ছদ ধারণ করে আপন পৃষ্ট শরীর আচ্ছাদন করেন, হিরণ্যস্পশী রশ্মি চারদিকে বিস্তুত হয়।
১৪। বৈরিগণ যার প্রতি বৈরতা করতে পারে না, মনুষ্য পীড়কগণ যাকে পীড়া দিতে পার না, পাপীরা যে দেবের প্রতি পাপাচারণ করতে পারে না।
১৫। যিনি মানুষের জন্য, আমাদের উদরের জন্য যথেষ্ট অন্ন প্রস্তুত করেছেন।
১৬। বরুণ বহুলোক দ্বারা দৃষ্ট; গাভী যেরূপ গোষ্ঠের দিকে যাব আমার চিন্তা নিবত্তিরহিত হয়ে তার দিকে যাচ্ছে।
১৭। হে বরুণ! যেহেতু আমার মধুর হব্য প্রস্তুত হয়েছে, হোতার ন্যায় তুমি সে প্রিয় হব্য ভক্ষণ কর; পরে আমরা উভয়ে আলাপ করব।
১৮। সকলের দর্শনীয় বরুণকে আমি দেখেছি, ভূমিতে তার রথ বিশেষ করে দেখেছি, আমার স্তুতি তিনি গ্রহণ করেছেন।
১৯। হে বরুণ! আমার এ আহ্বান শ্রবণ কর, অদ্য আমাকে সুখী কর, তোমায় রক্ষণাকাঙ্ক্ষী হয়ে আমি ডাকছি।
২০। হে মেধাবী বরুণ! তুমি দ্যুলোকে, ভূলোকে ও সমস্ত জগতে দীপ্যমান রয়েছে আমাদের ক্ষেমপ্রাপ্তির জন্য প্রার্থনা শ্রবণানন্তর তুমি উত্তর দান কর।
২১। আমাদের উপরের পাশ উপর দিয়ে খুলে দাও, মধ্যের পাশ খুলে দাও, নীচের পাশ খুলে দাও, যেন আমরা জীবিত থাকি।
টীকা
১। সূর্যের চতুর্দিকে পৃথিবীর গতিদ্বারা যে বৎসর গণনা করা যায়, দ্বাদশ অমাবস্যা গণনা করলে তা অপেক্ষা কয়েকদিন কম হয়ে পড়ে; এজন্য সৌরবৎসর ও চান্দ্রবৎসরের মধ্যে ঐক্য বিধান করবার জন্য চান্দ্রবৎসরের প্রতি তৃতীয় বৎসরে একটি অধিক মাস, (মলিলচ বা মলমাস) ধরতে হয়।
এ ঋক হতে প্রতীয়মান হয় যে প্রাচীন বৈদিক হিন্দুগণ উভয় বৎসরের গননা জানতেন এবং উভয় বৎসরের মধ্যে ঐক্য বিধান করতেও জানতেন।
১। যেমন লোকে ভ্রম করে, সেরুপ আমরাও দিনে দিনে তোমার রত সাধনে ভ্রম করে থাকি।
২। হে বরুণ! অনাদর করে হননকারী হয়ে তুমি আমাদরে বধ কর না, ক্রুদ্ধ হয়ে আমাদের উপর ক্রোধ প্রকাশ কর না।
৩। হে বরুণ! রথস্বামী যেরূপ শ্রান্ত অশ্বকে (পরিতৃপ্ত করে), আমরা সুখের জন্য সেরূপ স্তুতিদ্বারা তোমার মন প্রসন্ন করি।
৪। পক্ষিগণ যেরূপ নিবাস স্থানের দিকে ধাবমান হয়, আমার ক্রোধরহিত চিন্তা সমূহ সেরূপ ধন প্রাপ্তির জন্য ধাবিত হচ্ছে।
৫। বরুণ বলবান, নেতা ও বহু লোককে দর্শন করেন, কবে আমরা সুখের জন্য তাকে (এ যজ্ঞে) আনতে পারব?
৬। যজ্ঞানুষ্ঠাতা হবাদাতার প্রতি প্রসন্ন হরে (মিত্র ও বরুণ) এ সাধারণ হব্য গ্রহণ করছেন, অগ্রাহ্য করেন না।
৭। যিনি অন্তরীক্ষগামী পক্ষীদের পথ জানেন, যিনি সমুদ্রে নেৌকা সমূহের পথ জানেন।
৮। যিনি ধৃতব্রত হয়ে স্ব স্ব ফলাৎপাদী দ্বাদশ মাস জানেন এবং যে ত্রয়োদশ মাস উৎপন্ন হয় (১) তাও জানেন।
৯। যিনি বিস্তীর্ণ, কমনীয় ও মহৎ বায়ুর পথ জানেন, উপরে যারা বাস করেন তাদেরও জানেন।
১০। ধৃতব্রত ও শোভনকর্মা বরুণ স্বর্গীয় সন্তুতিদের মদ্যে সাম্রাজ্যসিদ্ধির জন্য এসে উপবেশন করেছেন।
১১। জ্ঞানবান লোকে তার প্রসাদে সকল অদ্ভূত ঘটনা, যা সম্পাদিন হয়েছে বা হবে, সমস্তই দেখতে পান।
১২। সে শোভনকর্মা অদিতিপুত্র আমাদের সকল দিনই সুপথগামী করুন, আমাদের আয়ু বর্ধন করুন।
১৩। বরুণ সুবর্ণের পরিচ্ছদ ধারণ করে আপন পৃষ্ট শরীর আচ্ছাদন করেন, হিরণ্যস্পশী রশ্মি চারদিকে বিস্তুত হয়।
১৪। বৈরিগণ যার প্রতি বৈরতা করতে পারে না, মনুষ্য পীড়কগণ যাকে পীড়া দিতে পার না, পাপীরা যে দেবের প্রতি পাপাচারণ করতে পারে না।
১৫। যিনি মানুষের জন্য, আমাদের উদরের জন্য যথেষ্ট অন্ন প্রস্তুত করেছেন।
১৬। বরুণ বহুলোক দ্বারা দৃষ্ট; গাভী যেরূপ গোষ্ঠের দিকে যাব আমার চিন্তা নিবত্তিরহিত হয়ে তার দিকে যাচ্ছে।
১৭। হে বরুণ! যেহেতু আমার মধুর হব্য প্রস্তুত হয়েছে, হোতার ন্যায় তুমি সে প্রিয় হব্য ভক্ষণ কর; পরে আমরা উভয়ে আলাপ করব।
১৮। সকলের দর্শনীয় বরুণকে আমি দেখেছি, ভূমিতে তার রথ বিশেষ করে দেখেছি, আমার স্তুতি তিনি গ্রহণ করেছেন।
১৯। হে বরুণ! আমার এ আহ্বান শ্রবণ কর, অদ্য আমাকে সুখী কর, তোমায় রক্ষণাকাঙ্ক্ষী হয়ে আমি ডাকছি।
২০। হে মেধাবী বরুণ! তুমি দ্যুলোকে, ভূলোকে ও সমস্ত জগতে দীপ্যমান রয়েছে আমাদের ক্ষেমপ্রাপ্তির জন্য প্রার্থনা শ্রবণানন্তর তুমি উত্তর দান কর।
২১। আমাদের উপরের পাশ উপর দিয়ে খুলে দাও, মধ্যের পাশ খুলে দাও, নীচের পাশ খুলে দাও, যেন আমরা জীবিত থাকি।
টীকা
১। সূর্যের চতুর্দিকে পৃথিবীর গতিদ্বারা যে বৎসর গণনা করা যায়, দ্বাদশ অমাবস্যা গণনা করলে তা অপেক্ষা কয়েকদিন কম হয়ে পড়ে; এজন্য সৌরবৎসর ও চান্দ্রবৎসরের মধ্যে ঐক্য বিধান করবার জন্য চান্দ্রবৎসরের প্রতি তৃতীয় বৎসরে একটি অধিক মাস, (মলিলচ বা মলমাস) ধরতে হয়।
এ ঋক হতে প্রতীয়মান হয় যে প্রাচীন বৈদিক হিন্দুগণ উভয় বৎসরের গননা জানতেন এবং উভয় বৎসরের মধ্যে ঐক্য বিধান করতেও জানতেন।
মন্তব্যসমূহ