পঞ্চম মণ্ডল: সুক্ত - ৫০
অনুবাদ
১। সূর্য দীপ্তিমান ও সকল প্রাণীদের জানেন, তার অশ্বগণ (১) তাকে সমস্ত জগতের দর্শনের জন্য ঊর্ধ্বে বহন করেছে।
২। সমস্ত জগতের প্রকাশক সূর্যের আগমনে নক্ষত্রগণ তস্করের ন্যায়রাতের সঙ্গে চলে যায়।
৩। দীপ্যমান অগ্নির ন্যায় সূর্যের প্রজ্ঞাপক রশ্মিসমূহ সকল লোককে এক এক করে দেখছে ।
৪। হে সূর্য! তুমি মহৎপথ ভ্রমণ কর, তুমি সকল প্রাণীদের দর্শনীয়, তুমি জ্যেতির কারণ, তুমি সমস্ত দীপ্যমান অন্তরীক্ষে প্রভা বিকাশ করছ।
৫। তুমি দেবলোকগণের সম্মুখে উদয় হও, মনুষ্যদের সম্মুখে উদয় হও, তুমি সমস্ত স্বর্গলোকের দৃষ্টির জন্য উদয় হও।
৬। হে শোধনকারী অনিষ্টনিবারক (২) ! তুমি যে আলোক দ্বারা প্রাণীগণের পোষণকারীরূপে জগৎকে দষ্টি কর;
৭। সে আলোর দ্বারা রাতের সাথে দিনকে উৎপাদন করে এবং প্রাণীদের অবলোকন করে তুমি বিস্তীর্ণ দিবালোক ভ্রমণ কর।
৮। হে দীপ্তিমান সর্ব প্রকাশক সূর্য। হরিৎ নামক সপ্ত অশ্ব রথে তোমাকে বহন করে, জ্যেতিই তোমার কেশ।
৯। সূর্য রথবাহক সাতটি অশ্বীকে যোজিত করলেন, সেই স্বয়ংযুক্ত অশ্বীদের দ্বারা তিনি গমন করেছেন (৩)।১০। অন্ধকারের উপর উত্থিত জ্যোতি দৃষ্টি করে আমরা সমস্ত দেবগণের মধ্যে দ্যুতিমান সূর্যের নিকট গমন করি; তিনিই উৎকৃষ্ট জ্যোতিঃ।
১১। হে অনুকুল দীপ্তিযুক্ত সূর্য! অদ্য উদয় হয়ে এবং উন্নত আকাশে আরোহণ করে আমার হৃদরোগ এবং হরিমাণ রোগ নাশ কর।
১২। আমরা আমাদের হরিমাণ রোগ শুক ও শারিকা পক্ষীতে স্থাপন করি, আমাদের হরিমাণ হরিদ্রায় স্থাপন করি।
১৩। এই আদিত্য সমস্ত তেজের সাথে উথিত হয়েছেন, তিনি আমার অনিষ্টকারী রোগ বিনাশ করেছেন আমি সে অনিষ্টকারীকে বিনাশ করি না। (৪)
টীকা
১। মুলে কেতবঃ শব্দ আছে। অর্থ সূর্যাশ্বাঃ যদ্বা সূর্যরুময়ঃ। সায়ণ। কিরণ সমূহকে ঋগ্বেদে অনেক স্থলে অশ্বের সাথে তুলনা করা হয়েছে ৩ সুক্তের ১ ঋকের টীকা ও ১৪ সুক্তের ১ ঋকের টীকা দেখুন।
২। মুলে বরুণ শব্দ আছে, অর্থ অনিষ্টকারক সূর্য। সায়ণ। অত্র বরুণশব্দেন আদিত্য এবং উচাতে। সায়ণ।
৩।৮। ও ৯ ঋকে সূর্যের সাতটি অ্বের কথা আছে, তার অর্থ বোধ হয় সূর্যালোকে নিহিত সপ্তবর্ণ রশ্মি।
৪।১১।১২ ও ১৩ ঋক একটি চিত্র পীড়া আরোগ্যের জন্য সূর্যের উদ্দেশে এ মন্ত্রগুলি পড়তে হয়। কথিত আছে যে সূর্য প্রস্কব মুনি দ্বারা এরূপে স্তুত হয়ে সে মুনির শ্বেতি রোগ ভাল করে দিয়েছিলেন।
পঞ্চম মণ্ডল- ঋগ্বেদ সংহিতা
১। সূর্য দীপ্তিমান ও সকল প্রাণীদের জানেন, তার অশ্বগণ (১) তাকে সমস্ত জগতের দর্শনের জন্য ঊর্ধ্বে বহন করেছে।
২। সমস্ত জগতের প্রকাশক সূর্যের আগমনে নক্ষত্রগণ তস্করের ন্যায়রাতের সঙ্গে চলে যায়।
৩। দীপ্যমান অগ্নির ন্যায় সূর্যের প্রজ্ঞাপক রশ্মিসমূহ সকল লোককে এক এক করে দেখছে ।
৪। হে সূর্য! তুমি মহৎপথ ভ্রমণ কর, তুমি সকল প্রাণীদের দর্শনীয়, তুমি জ্যেতির কারণ, তুমি সমস্ত দীপ্যমান অন্তরীক্ষে প্রভা বিকাশ করছ।
৫। তুমি দেবলোকগণের সম্মুখে উদয় হও, মনুষ্যদের সম্মুখে উদয় হও, তুমি সমস্ত স্বর্গলোকের দৃষ্টির জন্য উদয় হও।
৬। হে শোধনকারী অনিষ্টনিবারক (২) ! তুমি যে আলোক দ্বারা প্রাণীগণের পোষণকারীরূপে জগৎকে দষ্টি কর;
৭। সে আলোর দ্বারা রাতের সাথে দিনকে উৎপাদন করে এবং প্রাণীদের অবলোকন করে তুমি বিস্তীর্ণ দিবালোক ভ্রমণ কর।
৮। হে দীপ্তিমান সর্ব প্রকাশক সূর্য। হরিৎ নামক সপ্ত অশ্ব রথে তোমাকে বহন করে, জ্যেতিই তোমার কেশ।
৯। সূর্য রথবাহক সাতটি অশ্বীকে যোজিত করলেন, সেই স্বয়ংযুক্ত অশ্বীদের দ্বারা তিনি গমন করেছেন (৩)।১০। অন্ধকারের উপর উত্থিত জ্যোতি দৃষ্টি করে আমরা সমস্ত দেবগণের মধ্যে দ্যুতিমান সূর্যের নিকট গমন করি; তিনিই উৎকৃষ্ট জ্যোতিঃ।
১১। হে অনুকুল দীপ্তিযুক্ত সূর্য! অদ্য উদয় হয়ে এবং উন্নত আকাশে আরোহণ করে আমার হৃদরোগ এবং হরিমাণ রোগ নাশ কর।
১২। আমরা আমাদের হরিমাণ রোগ শুক ও শারিকা পক্ষীতে স্থাপন করি, আমাদের হরিমাণ হরিদ্রায় স্থাপন করি।
১৩। এই আদিত্য সমস্ত তেজের সাথে উথিত হয়েছেন, তিনি আমার অনিষ্টকারী রোগ বিনাশ করেছেন আমি সে অনিষ্টকারীকে বিনাশ করি না। (৪)
টীকা
১। মুলে কেতবঃ শব্দ আছে। অর্থ সূর্যাশ্বাঃ যদ্বা সূর্যরুময়ঃ। সায়ণ। কিরণ সমূহকে ঋগ্বেদে অনেক স্থলে অশ্বের সাথে তুলনা করা হয়েছে ৩ সুক্তের ১ ঋকের টীকা ও ১৪ সুক্তের ১ ঋকের টীকা দেখুন।
২। মুলে বরুণ শব্দ আছে, অর্থ অনিষ্টকারক সূর্য। সায়ণ। অত্র বরুণশব্দেন আদিত্য এবং উচাতে। সায়ণ।
৩।৮। ও ৯ ঋকে সূর্যের সাতটি অ্বের কথা আছে, তার অর্থ বোধ হয় সূর্যালোকে নিহিত সপ্তবর্ণ রশ্মি।
৪।১১।১২ ও ১৩ ঋক একটি চিত্র পীড়া আরোগ্যের জন্য সূর্যের উদ্দেশে এ মন্ত্রগুলি পড়তে হয়। কথিত আছে যে সূর্য প্রস্কব মুনি দ্বারা এরূপে স্তুত হয়ে সে মুনির শ্বেতি রোগ ভাল করে দিয়েছিলেন।
পঞ্চম মণ্ডল- ঋগ্বেদ সংহিতা
মন্তব্যসমূহ