প্রথম মণ্ডল: সুক্ত - ১০
অনুবাদ
১। হে শতক্রতু! গায়কেরা তোমার উদ্দেশে গান করে, অর্চকেরা অর্চনীয় ইন্দ্রকে অর্চনা করে; নর্তকেরা যেরূপ বংশখণ্ডকে উন্নত করে, স্তুতিকারেরা (১) তোমাকে সেরূপ উন্নত করে।
২। যজমান সোমলতা আহরণার্থ যখন সানু হতে অপর সানুতে আরোহণ করে, এবং প্রভূত কর্ম উপক্রম করে, তখন ইন্দ্র যজমানের প্রয়োজন জানতে পারেন, এবং অভীষ্টবর্ষণে উৎসুক হয়ে মরুৎদলের সাথে যজ্ঞস্থানে আগমনার্থ উদ্যত হন।
৩। তোমার কেশরযুক্ত, পরাক্রান্ত এবং পৃষ্টাঙ্গ অশ্বদ্বয় সংযোজিত কর; তারপর হে সোমপায়ী ইন্দ্র! আমাদের স্তুতি শ্রবণার্থ নিকটে এস।
৪। হে নিবাসকারণভূত ইন্দ্র! এস আমাদের স্তুতির প্রশংসা কর, অনুমোদন কর ও শব্দদ্বারা আনন্দ প্রকাশ কর; আমাদের অন্ন ও যজ্ঞ এককালে বর্ধন কর।
৫। বহু শত্রুনিষেধকারী ইন্দ্রের উদ্দেশে বর্ধনকারী উকথ গীত হবে; যেন সে ক্ষমতাশালী ইন্দ্র আমাদের পুত্র ও বন্ধুদের মধ্যে মহানাদ করেন।
৬। আমরা মিত্রতার জন্য, ধনের জন্য সূবীর্যের জন্য তাঁর নিকট যাই; সে ক্ষমতাশালী ইন্দ্র আমাদের ধন দান করে আমাদরে রক্ষণসথর্থ হয়েছেন।
৭। হে ইন্দ্র! তোমার প্রদত্ত অন্ন সর্বত্র প্রসারিত এবং সুখপ্রাপ্য, হে বজ্রধারী ইন্দ্র! গাভীর নিবাসস্থান খুলে দাও ধন সম্পাদন কর।
৮। হে ইন্দ্র! শত্রুবধ কালে এ উভয় জগৎ তোমাকে ধারণ করতে পার না; তুমি স্বর্গীয় জল জয় কর, আমাদের সম্যকরূপে গাভী প্রেরণ কর।
৯। হে ইন্দ্র! তোমার কর্ণ চারদিক হতে শুনতে পায়, আমাদরে আহ্বান শীঘ্র শ্রবণ কর; আমার স্তুতি ধারণ কর, আমার এ স্তোত্র ও আমার সখার স্তোত্র আপনার নিকটে ধারণ কর।
১০। আমরা তোমাকে জানি; তুমি প্রভূতরূপে অভীষ্ট বর্ষণ কর, তুমি সংগ্রামে আমাদরে আহ্বান শ্রবণ কর; নব্য আয়ুঃ সম্যকরূপে বর্ধন কর, এ ঋষিকে সহস্রধনোপেত কর।
১১। ?
১২। হে স্তুতিভাজন ইন্দ্র! চারদিক হতে এ স্তুতি তোমার নিকট উপনীত হোক; তুমি দীর্ঘায়ুঃ; তোমাকে অনুসরণ করে সে স্তুতি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হোক; তোমার প্রীতি সাধন করে সে স্তুতি আমাদরে প্রীতিকর হোক।
টীকা
১। মুলে ব্রহ্মাণঃ আছে। ঋগ্বেদে ব্রহ্ম অর্থে স্তুতি এবং ব্রহমা অর্থে স্তুতিকারী পুরোহিত। ১৫ সুক্তের ৫ ঋক, ১৮ সুক্তের ১ ঋক দেখুন।
২। ষদ্যপি কিবামিত্রঃ কুশিকসা পত্রজ্ঞথাপি তদ্রুপেণ ইন্দ্রস্যৈবোৎপন্নত্বাৎ কুশিকপুত্রত্বমবিরুদ্ধম। কুশিকস্তৈষীরথিরিন্দ্রতুলাং পুত্রমিচ্ছন ব্রহ্মচর্যং চচার। তসোন্দ্র এর গাথীপুত্র যজ্ঞে। সায়ণ।
১। হে শতক্রতু! গায়কেরা তোমার উদ্দেশে গান করে, অর্চকেরা অর্চনীয় ইন্দ্রকে অর্চনা করে; নর্তকেরা যেরূপ বংশখণ্ডকে উন্নত করে, স্তুতিকারেরা (১) তোমাকে সেরূপ উন্নত করে।
২। যজমান সোমলতা আহরণার্থ যখন সানু হতে অপর সানুতে আরোহণ করে, এবং প্রভূত কর্ম উপক্রম করে, তখন ইন্দ্র যজমানের প্রয়োজন জানতে পারেন, এবং অভীষ্টবর্ষণে উৎসুক হয়ে মরুৎদলের সাথে যজ্ঞস্থানে আগমনার্থ উদ্যত হন।
৩। তোমার কেশরযুক্ত, পরাক্রান্ত এবং পৃষ্টাঙ্গ অশ্বদ্বয় সংযোজিত কর; তারপর হে সোমপায়ী ইন্দ্র! আমাদের স্তুতি শ্রবণার্থ নিকটে এস।
৪। হে নিবাসকারণভূত ইন্দ্র! এস আমাদের স্তুতির প্রশংসা কর, অনুমোদন কর ও শব্দদ্বারা আনন্দ প্রকাশ কর; আমাদের অন্ন ও যজ্ঞ এককালে বর্ধন কর।
৫। বহু শত্রুনিষেধকারী ইন্দ্রের উদ্দেশে বর্ধনকারী উকথ গীত হবে; যেন সে ক্ষমতাশালী ইন্দ্র আমাদের পুত্র ও বন্ধুদের মধ্যে মহানাদ করেন।
৬। আমরা মিত্রতার জন্য, ধনের জন্য সূবীর্যের জন্য তাঁর নিকট যাই; সে ক্ষমতাশালী ইন্দ্র আমাদের ধন দান করে আমাদরে রক্ষণসথর্থ হয়েছেন।
৭। হে ইন্দ্র! তোমার প্রদত্ত অন্ন সর্বত্র প্রসারিত এবং সুখপ্রাপ্য, হে বজ্রধারী ইন্দ্র! গাভীর নিবাসস্থান খুলে দাও ধন সম্পাদন কর।
৮। হে ইন্দ্র! শত্রুবধ কালে এ উভয় জগৎ তোমাকে ধারণ করতে পার না; তুমি স্বর্গীয় জল জয় কর, আমাদের সম্যকরূপে গাভী প্রেরণ কর।
৯। হে ইন্দ্র! তোমার কর্ণ চারদিক হতে শুনতে পায়, আমাদরে আহ্বান শীঘ্র শ্রবণ কর; আমার স্তুতি ধারণ কর, আমার এ স্তোত্র ও আমার সখার স্তোত্র আপনার নিকটে ধারণ কর।
১০। আমরা তোমাকে জানি; তুমি প্রভূতরূপে অভীষ্ট বর্ষণ কর, তুমি সংগ্রামে আমাদরে আহ্বান শ্রবণ কর; নব্য আয়ুঃ সম্যকরূপে বর্ধন কর, এ ঋষিকে সহস্রধনোপেত কর।
১১। ?
১২। হে স্তুতিভাজন ইন্দ্র! চারদিক হতে এ স্তুতি তোমার নিকট উপনীত হোক; তুমি দীর্ঘায়ুঃ; তোমাকে অনুসরণ করে সে স্তুতি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হোক; তোমার প্রীতি সাধন করে সে স্তুতি আমাদরে প্রীতিকর হোক।
টীকা
১। মুলে ব্রহ্মাণঃ আছে। ঋগ্বেদে ব্রহ্ম অর্থে স্তুতি এবং ব্রহমা অর্থে স্তুতিকারী পুরোহিত। ১৫ সুক্তের ৫ ঋক, ১৮ সুক্তের ১ ঋক দেখুন।
২। ষদ্যপি কিবামিত্রঃ কুশিকসা পত্রজ্ঞথাপি তদ্রুপেণ ইন্দ্রস্যৈবোৎপন্নত্বাৎ কুশিকপুত্রত্বমবিরুদ্ধম। কুশিকস্তৈষীরথিরিন্দ্রতুলাং পুত্রমিচ্ছন ব্রহ্মচর্যং চচার। তসোন্দ্র এর গাথীপুত্র যজ্ঞে। সায়ণ।
মন্তব্যসমূহ