দ্বিতীয় মণ্ডল: সুক্ত - ১৮
অনুবাদ
১। হে ব্রহ্মণস্পতি (১)! সোমরসদাতাকে (অর্থাৎ আমাকে) উশিজ পুত্র কক্ষীবানের (২) ন্যায় দেবগণের নিকট প্রসিদ্ধ কর।
২। যিনি ধনবান, রোগ হস্তা, ধনদাতা, পুষ্টিবর্ধক ও শীঘ্রফলপ্রদ, সে ব্রহ্মণস্পতি আমাদরে অনুগ্রহ করুন।
৩। উপদ্রবকারী মানুষের হিংসাযুক্ত নিন্দা আমাদের যেন স্পর্শ না করে, হে ব্রহ্মণস্পতি! আমাদের রক্ষা কর।
৪। যে মনুষ্যকে ইন্দ্র ও ব্রহ্মণস্পতি ও সোম বর্ধন করেন সে বীর বিনাশ প্রাপ্ত হয় না।
৫। হে ব্রহ্মণস্পতি! তুমিও সোম ও ইন্দ্র ও দক্ষিণা (৩) সে মানুষকে পাপ হতে রক্ষা কর।
৬। বিস্ময়কর, ইন্দ্রপ্রিয় কমনীয় ও ধনদাতা সদসস্পতির নিকট মেধাশক্তি যাচ্ঞা করছি।
৭। যার প্রসাদ ব্যতীত জ্ঞানবানেরও যজ্ঞ সিদ্ধ হয় না, সে সদসস্পতি আমাদের মানসিক প্রবৃত্তি সমূহের যোগ ব্যাপে আছেন।
৮। পরে তিনি হব্য সম্পাদক যজমানকে বর্ধন করেন, যজ্ঞ সম্যকরূপে সমাপন করেন, (তার প্রসাদে) আমাদরে স্তুতি দেবগণকে প্রাপ্ত হয়।
৯। বিক্রমশালী সুবিখ্যাত ও আকাশের ন্যায় প্রাপ্ততেজা নরাশংসকে (৪) আমি দেখেছি।
টীকা
১। ১০ সুক্তের ১ ঋকের টীকায় ও ১৫ সুক্তের ৫ ঋকের টীকায় আমরা বলেছি ব্রহ্মা অর্থে স্তুতিকারী ঋত্বিক। ঋগ্বেদে ব্রহ্ম অর্থে স্তুতি বা প্রার্থনা। সায়ণ এ অর্থ করেছেন এবং ইউরোপীয় পণ্ডিতগণও ঐ অর্থ করেন। পণ্ডিতবর রোথ ব্রহ্ম শব্দের সাতটি অর্থ করেছেন, যথা প্রার্থনা, মন্ত্র, পবিত্রবাক্য, জ্ঞান, সততা, পরমাত্মা, এবং পুরোহিত। মক্ষমুলর বিবেচনা করেন বৃহ ধাতুর একটি অর্থ বর্ধন, আর একটি অর্থ বাক্য এবং ঐ ধাতু হতে বৃহস্পতি ও ব্রহ্মণস্পতি উৎপন্ন হয়েছে। Origin and Growth of Religion (1882)PP, 366, 367 note. ব্রক্ষণস্পতি বা বৃহস্পতি স্তুতিদেব।
২। মহাভারতে, মৎস্য পুরাণে ও বায়ুপুরাণে কক্ষীবানের গল্প আছে। ঋগ্বেদে কক্ষীবান একজন ঋষি, এ মন্ডলের ১১৫ হতে ১২৫ সুক্ত তাঁর রচিত। কলিঙ্গরাজ সন্তান আকাঙ্ক্ষায় তার রাণীকে দীর্ঘ তমা মুনির সঙ্গে সহবাসের আদেশ দিয়েছিলেন। রাণী স্বয়ং না গিয়ে দাসী উশিজকে পাঠিযে দিলেন। মুনি তা বুঝতে পারলেন, এবং উশিজের দ্বারা কক্ষীবান নামক সন্তান উৎপাদন করলেন। এ গল্পটি আধুনিক। প্রকৃত কক্ষীবান একজন বৈদিক ঋষি। এ ঋগ্বেদের প্রথম মন্ডলের ১৫৫ হতে ১২৫ সুক্তের ঋষি কক্ষীবান।
৩। যজ্ঞান্তে দানই দক্ষিণা, এখানে দেবী বলে আহুত হয়েছেন।
৪। অগ্নির নাম বিশেষ।
১। হে ব্রহ্মণস্পতি (১)! সোমরসদাতাকে (অর্থাৎ আমাকে) উশিজ পুত্র কক্ষীবানের (২) ন্যায় দেবগণের নিকট প্রসিদ্ধ কর।
২। যিনি ধনবান, রোগ হস্তা, ধনদাতা, পুষ্টিবর্ধক ও শীঘ্রফলপ্রদ, সে ব্রহ্মণস্পতি আমাদরে অনুগ্রহ করুন।
৩। উপদ্রবকারী মানুষের হিংসাযুক্ত নিন্দা আমাদের যেন স্পর্শ না করে, হে ব্রহ্মণস্পতি! আমাদের রক্ষা কর।
৪। যে মনুষ্যকে ইন্দ্র ও ব্রহ্মণস্পতি ও সোম বর্ধন করেন সে বীর বিনাশ প্রাপ্ত হয় না।
৫। হে ব্রহ্মণস্পতি! তুমিও সোম ও ইন্দ্র ও দক্ষিণা (৩) সে মানুষকে পাপ হতে রক্ষা কর।
৬। বিস্ময়কর, ইন্দ্রপ্রিয় কমনীয় ও ধনদাতা সদসস্পতির নিকট মেধাশক্তি যাচ্ঞা করছি।
৭। যার প্রসাদ ব্যতীত জ্ঞানবানেরও যজ্ঞ সিদ্ধ হয় না, সে সদসস্পতি আমাদের মানসিক প্রবৃত্তি সমূহের যোগ ব্যাপে আছেন।
৮। পরে তিনি হব্য সম্পাদক যজমানকে বর্ধন করেন, যজ্ঞ সম্যকরূপে সমাপন করেন, (তার প্রসাদে) আমাদরে স্তুতি দেবগণকে প্রাপ্ত হয়।
৯। বিক্রমশালী সুবিখ্যাত ও আকাশের ন্যায় প্রাপ্ততেজা নরাশংসকে (৪) আমি দেখেছি।
টীকা
১। ১০ সুক্তের ১ ঋকের টীকায় ও ১৫ সুক্তের ৫ ঋকের টীকায় আমরা বলেছি ব্রহ্মা অর্থে স্তুতিকারী ঋত্বিক। ঋগ্বেদে ব্রহ্ম অর্থে স্তুতি বা প্রার্থনা। সায়ণ এ অর্থ করেছেন এবং ইউরোপীয় পণ্ডিতগণও ঐ অর্থ করেন। পণ্ডিতবর রোথ ব্রহ্ম শব্দের সাতটি অর্থ করেছেন, যথা প্রার্থনা, মন্ত্র, পবিত্রবাক্য, জ্ঞান, সততা, পরমাত্মা, এবং পুরোহিত। মক্ষমুলর বিবেচনা করেন বৃহ ধাতুর একটি অর্থ বর্ধন, আর একটি অর্থ বাক্য এবং ঐ ধাতু হতে বৃহস্পতি ও ব্রহ্মণস্পতি উৎপন্ন হয়েছে। Origin and Growth of Religion (1882)PP, 366, 367 note. ব্রক্ষণস্পতি বা বৃহস্পতি স্তুতিদেব।
২। মহাভারতে, মৎস্য পুরাণে ও বায়ুপুরাণে কক্ষীবানের গল্প আছে। ঋগ্বেদে কক্ষীবান একজন ঋষি, এ মন্ডলের ১১৫ হতে ১২৫ সুক্ত তাঁর রচিত। কলিঙ্গরাজ সন্তান আকাঙ্ক্ষায় তার রাণীকে দীর্ঘ তমা মুনির সঙ্গে সহবাসের আদেশ দিয়েছিলেন। রাণী স্বয়ং না গিয়ে দাসী উশিজকে পাঠিযে দিলেন। মুনি তা বুঝতে পারলেন, এবং উশিজের দ্বারা কক্ষীবান নামক সন্তান উৎপাদন করলেন। এ গল্পটি আধুনিক। প্রকৃত কক্ষীবান একজন বৈদিক ঋষি। এ ঋগ্বেদের প্রথম মন্ডলের ১৫৫ হতে ১২৫ সুক্তের ঋষি কক্ষীবান।
৩। যজ্ঞান্তে দানই দক্ষিণা, এখানে দেবী বলে আহুত হয়েছেন।
৪। অগ্নির নাম বিশেষ।
মন্তব্যসমূহ