পঞ্চম মণ্ডল: সুক্ত - ৪৭
অনুবাদ
১। হে যজ্ঞবর্ধয়িতা অশ্বিদ্বয়! এ অতিশয় মধুর সোম তোমাদের জন্য অভিযুক্ত হয়েছে। এটি কল্য প্রস্তুত হয়েছে, পান কর এবং হব্যদাতা যজমানকে রমনীয় ধন দান কর।
২। হে অশ্বিদ্বয়! তোমাদের ত্রিবন্ধন যুক্ত ও ত্রিকোণ ও সুরূপ রথে আগমন কর; কবপুত্রেরা যজ্ঞে তোমাদের স্ত্রোত্র পাঠ করছে, তাদের আহ্বান সাদরে শ্রবণ কর।
৩। হে যজ্ঞবর্ধয়িতা অশ্বিদ্বয়। অতিশয় মধুর সোম পান কর; তার পরহে দস্রদ্বয়! অদ্য রথে ধন নিয়ে হব্যদাতার নিকট গমন কর।
৪। হে সর্বজ্ঞ অশ্বিদ্বয়! কক্ষ্যাত্রয়ে স্থিত যজ্ঞকুশে থেকে মধুর রস দ্বারা যজ্ঞ সিক্ত কর; হে অশ্বিদ্বয়! দীপ্তিমান কবপুত্রেরা সোম অভিষব করে তোমাদের আহবান করছে।
৫। হে অশ্বিদ্বয়! তোমরা উভয়ে যে অভীষ্ট রক্ষণকার্য দ্বারা কবকে রক্ষা করেছিলে, হে শোভনকর্ম পালক। সে রক্ষণকার্য দ্বারা আমাদের রক্ষা কর; হে যজ্ঞ বর্ধক! সোম পান কর।
৬। হে দস্রদ্বয়! তোমরা রথে ধন নিয়ে দুস্যসকে (১) অন্ন এনে দিয়েছিলে, সেরূপ অন্তরীক্ষ হতে অথবা দ্যুলোক হতে অনেকের বাঞ্ছিত ধন আমাদরেকে দান কর।
৭। হে নাসতাদ্বয়! তোমরা দুরেই থাক অথবা নিকটেই থাক, সূর্যোদয় কালে সূর্যরশ্মির সাথে নিজ সুনির্মিত রথে আমাদের নিকট এস।
৮। তোমরা সর্বদা যাগসেবী; তোমাদের সপ্ত অশ্ব তোমাদরে নিকটে এনে সবনাভিমুখে নিয়ে যাক; হে নরদ্বয়! শুভকর্মকারী ও দানশীল যজমানকে অন্ন দান করে তোমরা কুশে উপবেশন কর।
৯। হে নাসত্যদ্বয়! তোমরা যে রথে ধন নিয়ে হব্যদাতকে সর্বদা দান করছ, সেই সুর্য রশ্মিপরিবেষ্টিত রথে মধুর সোমপানার্থ আগমন কর।
১০। আমরা রক্ষার জন্য উকথ দ্বারা ও স্তোত্রদ্বারা প্রভূতধনশালী অশ্বিদ্বয়কে আমাদের অভিমুখে আহ্বান করছি; হে অশ্বিদ্বয়! কবপুত্রদের প্রিয় সদনে তোমরা সর্বদাই সোম পান করেছ।
টীকা
১। সুদাসে শোভনদানযুক্ত রাজ্ঞে পিজবনপুত্রায়। সায়ণ। সুদাস পিজবন রাজার পুত্র এবং ঋগ্বেদে উল্লিখিত সকল রাজগণের মধ্যে সুদাসই প্রসিদ্ধ। ভারত আদি দশ জাতি তাকে আক্রমণ করেছিল, কিন্তু সুদাস তাদের পরাস্ত করেন। ৩ মন্ডলের ৩৩ সুক্ত এবং ৭ মন্ডলের ১৮ ও ৮৩ সুক্ত দেখুন। সেই ভারত জাতি কি পরে আবার কুরক্ষেত্রে যুদ্ধ করেছিল? না সুদাসের ভারতদের সাথে যুদ্ধই বহুকাল পরে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ বলে মহাভারতে বর্ণিত হয়েছে।
পঞ্চম মণ্ডল- ঋগ্বেদ সংহিতা
১। হে যজ্ঞবর্ধয়িতা অশ্বিদ্বয়! এ অতিশয় মধুর সোম তোমাদের জন্য অভিযুক্ত হয়েছে। এটি কল্য প্রস্তুত হয়েছে, পান কর এবং হব্যদাতা যজমানকে রমনীয় ধন দান কর।
২। হে অশ্বিদ্বয়! তোমাদের ত্রিবন্ধন যুক্ত ও ত্রিকোণ ও সুরূপ রথে আগমন কর; কবপুত্রেরা যজ্ঞে তোমাদের স্ত্রোত্র পাঠ করছে, তাদের আহ্বান সাদরে শ্রবণ কর।
৩। হে যজ্ঞবর্ধয়িতা অশ্বিদ্বয়। অতিশয় মধুর সোম পান কর; তার পরহে দস্রদ্বয়! অদ্য রথে ধন নিয়ে হব্যদাতার নিকট গমন কর।
৪। হে সর্বজ্ঞ অশ্বিদ্বয়! কক্ষ্যাত্রয়ে স্থিত যজ্ঞকুশে থেকে মধুর রস দ্বারা যজ্ঞ সিক্ত কর; হে অশ্বিদ্বয়! দীপ্তিমান কবপুত্রেরা সোম অভিষব করে তোমাদের আহবান করছে।
৫। হে অশ্বিদ্বয়! তোমরা উভয়ে যে অভীষ্ট রক্ষণকার্য দ্বারা কবকে রক্ষা করেছিলে, হে শোভনকর্ম পালক। সে রক্ষণকার্য দ্বারা আমাদের রক্ষা কর; হে যজ্ঞ বর্ধক! সোম পান কর।
৬। হে দস্রদ্বয়! তোমরা রথে ধন নিয়ে দুস্যসকে (১) অন্ন এনে দিয়েছিলে, সেরূপ অন্তরীক্ষ হতে অথবা দ্যুলোক হতে অনেকের বাঞ্ছিত ধন আমাদরেকে দান কর।
৭। হে নাসতাদ্বয়! তোমরা দুরেই থাক অথবা নিকটেই থাক, সূর্যোদয় কালে সূর্যরশ্মির সাথে নিজ সুনির্মিত রথে আমাদের নিকট এস।
৮। তোমরা সর্বদা যাগসেবী; তোমাদের সপ্ত অশ্ব তোমাদরে নিকটে এনে সবনাভিমুখে নিয়ে যাক; হে নরদ্বয়! শুভকর্মকারী ও দানশীল যজমানকে অন্ন দান করে তোমরা কুশে উপবেশন কর।
৯। হে নাসত্যদ্বয়! তোমরা যে রথে ধন নিয়ে হব্যদাতকে সর্বদা দান করছ, সেই সুর্য রশ্মিপরিবেষ্টিত রথে মধুর সোমপানার্থ আগমন কর।
১০। আমরা রক্ষার জন্য উকথ দ্বারা ও স্তোত্রদ্বারা প্রভূতধনশালী অশ্বিদ্বয়কে আমাদের অভিমুখে আহ্বান করছি; হে অশ্বিদ্বয়! কবপুত্রদের প্রিয় সদনে তোমরা সর্বদাই সোম পান করেছ।
টীকা
১। সুদাসে শোভনদানযুক্ত রাজ্ঞে পিজবনপুত্রায়। সায়ণ। সুদাস পিজবন রাজার পুত্র এবং ঋগ্বেদে উল্লিখিত সকল রাজগণের মধ্যে সুদাসই প্রসিদ্ধ। ভারত আদি দশ জাতি তাকে আক্রমণ করেছিল, কিন্তু সুদাস তাদের পরাস্ত করেন। ৩ মন্ডলের ৩৩ সুক্ত এবং ৭ মন্ডলের ১৮ ও ৮৩ সুক্ত দেখুন। সেই ভারত জাতি কি পরে আবার কুরক্ষেত্রে যুদ্ধ করেছিল? না সুদাসের ভারতদের সাথে যুদ্ধই বহুকাল পরে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ বলে মহাভারতে বর্ণিত হয়েছে।
পঞ্চম মণ্ডল- ঋগ্বেদ সংহিতা
মন্তব্যসমূহ